গণবাণী ডট কম:
মহামারি করোনাকে ঠেকাতে সারাদেশের কঠোর লকডাউনের অষ্টম দিনে জেলায় ঢিলেঢালা লকডাউন চলেছে। লকডাউন বলতে শুধু ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ। বিভিন্ন উপজেলার সংযোগ ও আঞ্চলিক সড়ক, অলি গলি রাস্তা গুলোতে ইজিবাইক, রিকশা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, টেম্প, সিএনজি চলাচল অনেক বেড়েছে। নানা অজুহাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিগত দিনগুলোর তুলনায় বেড়েছে লোক চলাচল। হাট বাজার, বিভিন্ন মোড়ে চায়ের দোকান, বিশেষত কাঁচা বাজার ও বিভিন্ন মোদী দোকানে ক্রেতাদের রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। দেদারসে চলছে আড্ডাবাজি ও খোশ গল্প। এসব স্থানে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, সামাজিক দুরত্ব বঝায় রাখার কোন তাগিদ নেই। সর্বত্রই লকডাউনের কোন চিহ্ন দেখা যায়নি। তবে, জেলা প্রশাসনের দাবী আজ বৃহস্পতিবারেও আগের মতই কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার ছিল সারাদেশের লকডাউনের ৮ম এবং গাজীপুরের চলমান লকডাউনের ১৭তম দিন। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই জেলার সকল উপজেলায় ইউএনও, এসি ল্যান্ড ছাড়াও ঢাকার ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গাজীপুর মহানগরীতে ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ৩ সেকসন সেনা সদস্য, ২ প্লাটুন বিজিবি, র্যা ব ও আনসার সদস্যদের দুটি করে টহল দল লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে। এছাড়া শুধু মহানগরীতই ছিল পুলিশের ১০টি চেকপোস্ট ও ২৭টি টহল দলের কড়া নজরদারী। রয়েছে জেলার সকল থানা এলাকায় জেলা পুলিশের চেকপোস্ট ও টহল। জেলা থেকে কোন ধরনের যানবাহন গাজীপুর রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না, ৫৪ টি প্রবেশপথেই যানবাহন তল্লশি করা হচ্ছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল কালাম জানান, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা না মানার কারনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চলমান লকডাউনের আজ ৮ম দিনে মোট ১৫২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ৯৭৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ৯৭০ জনকে অর্থদন্ড করে নগদ জরিমানা হিসাবে মোট ১১ লাখ ৯ হাজার ২৮০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ৫ জনকে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। জেলায় তারপরেও জেলায় লকডাউন বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা না মানা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।