গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকার আলোচিত কিশোরী খুন সুমাইয়া খাতুন (১২) ধর্ষণ ও হত্য মামলার রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ ব্যুরে অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর।
ঘটনার ৮ মাস ১৩ দিন পর রহস্য উদঘাটিত হলো। এ ঘটনায় জড়িত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।
গ্রেফতারের আসামীরা আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্ধি দিয়েছে।
স্বীকারোক্তিতে তারা বলেছে, সুমাইয়াকে প্রেম নিবেদন করলে সে তা প্রত্যাক্ষাণ করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে কিশোরীকে ধর্ষণ। পরে ধর্ষণের কথা প্রকাশ দিতে পারে এমন আশংকায় তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত সুমাইয়া যশোর জেলার বাঘোপাড়া থানার এলাকার বাউলিয়া এলাকার সোহেল রানার কন্যা। সে তার বাবা মার সাথে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের বারেন্ডা পশ্চিমপাড়া (নুরুল ইসলামের বাড়ীতে ভাড়া বাসায় থাকত।
মামলা ঘটনার জড়িত হিসাবে যাদের গ্রেফতার করা হলো তারা হলো. নীলফামারি জেলার ডোমার থানার চিলাহাটি গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মোঃ সাঈদ ইসলাম (১৯)। অপরজন, মোঃ রনি মিয়া (২১)। তিনি লালমনির হাট সদরের তিস্তা চৌরাটারী গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান আজ বুধবার বিকালে এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, আসামী রনি ও ভিকটিম সুমাইয়া খাতুনদের পাশের রুমে ভাড়া থাকত। আসামী রনির বন্ধু মিলন, হাসান ও সাঈদ আসামী রনিদের পাশের বাড়ীতে ভাড়া থাকত এবং সে সুবাধে আসামী রনিদের বাসায় মিলন, হাসান ও সাঈদ তিন বেলা টাকার বিনিময়ে খাওয়া দাওয়া করত। রনির বন্ধু মিলনের সাথে ভিকটিম সুমাইয়ার প্রেমের সর্ম্পক ছিল। রনি সুমাইয়াদের পাশের রুমে ভাড়া থাকার প্রেক্ষিতে সে সুমাইয়াকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করত। রনির বন্ধু সাঈদও ভিকটিমকে পছন্দ করত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা উল্লেখিত বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
পরে রনি ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর মাসের সকালে সুমাইয়ার বাবা ও মা পর সকলে যখন কর্মস্থলে যায় তখন রনির বন্ধু সাঈদ রনির বাসায় সকালের খাবার খেতে আসলে আসামী রনি ও সাঈদ সলাপরামর্শ করে ভিকটিমের সাথে দৈহিক মেলামেশা করার সিন্ধান্ত নেয়। আসামী রনি খেলার ছলে ভিকটিমকে কোলে করে ভিকটিমের বসতঘরের বিছানায় শুইয়ে তার পড়নের কাপড় খোলার চেষ্টা করলে ভিকটিম বাঁধা দেয়। তখন আসামী সাঈদ ভিকটিমের পা ধরে রাখে ও আসামী রনি ভিকটিমের দুই হাত বেঁধে ভিকটিমের মুখে বালিশ চাপা দেয়। প্রথমে আসামী রনি ভিকটিমকে ধর্ষন করে ও আসামী সাঈদ তার মোবাইলে আসামী রনির ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে। অতঃপর আসামী সাঈদ ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে আসামীদ্বয় ভিকটিমকে স্বাসরোধ করে হত্যা করে।