গণবাণী ডট কম:
বাংলাদেশে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব বলছে, বাংলাদেশে সুপরিচিত অভিনেত্রী পরীমনি আগে থেকেই অ্যালকোহলে আসক্ত ছিলেন এবং নিজ বাসায় তিনি ‘মিনি বার’ তৈরি করেছিলেন।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, “২০১৬ সাল থেকেই পরীমনি অ্যালকোহলে আসক্ত। তার কাছ থেকে একটি মেয়াদোত্তীর্ণ মাদক লাইসেন্স পাওয়া গেছে”।
যদিও সম্প্রতি ঢাকার বোট ক্লাবে মধ্যরাতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগের পর পরীমনি পুলিশের উপস্থিতিতেই গণমাধ্যমকে বলেছিলেন যে মদ্যপানের অভ্যাস তার নেই এবং বোট ক্লাবে জোর করে তার গলায় মদ ঢেলে দেয়া হয়েছিলো।
যদিও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানিয়ে র্যাব এখন বলছে, পরীমনি আগে থেকেই অ্যালকোহলে আসক্ত এবং তার বাসা থেকে ১২০টি আগের ব্যবহার করা বোতল ও ১৯টি বিদেশী মদের বোতল তারা উদ্ধার করেছে।
বুধবার বাসায় সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অভিযানের পর রাত সোয়া আটটার দিকে পরীমনিকে গাড়ীতে করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায় র্যাব।
রাতেই ঢাকার সিনেমার একজন প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকেও আটক করে।
এছাড়া আরও দুজন পুরুষকে আটকের কথা জানিয়েছে র্যাব। তবে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য তারা দেয়নি।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন ব্রিফিং এ বলেন, “পরীমনিসহ আটক চার ব্যক্তির কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। পরীমনি এ পর্যন্ত এই পর্যন্ত ৩০ টি সিনেমা ও ৫ বা ৬টি টিভিসি (টিভি বিজ্ঞাপন চিত্র)তে অভিনয় করেছেন। আর তার উত্থানের পেছনে নজরুল ইসলাম রাজের ভূমিকা ছিলো”।
তিনি বলেন পরীমনির ফ্ল্যাট থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তিনি ফ্ল্যাটে মিনি বার স্থাপন করেছিলেন যেখানে পার্টি বা ডিজে পার্টির আয়োজন করতেন।
“এই মিনিবারে রাজসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের যাতায়াত ছিলো। অ্যালকোহল সাপ্লাই করতো রাজ। নজরুল ইসলাম রাজ, মিশু হাসান ও জিসানের সহযোগিতায় ১০ থেকে ১২ জনের গ্রুপ গড়ে তোলা হয়েছে যারা পার্টির আয়োজন করতো”।
খন্দকার আল মঈন বলেন আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হবে আর রাজের বিরুদ্ধে মাদক ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে পরীমনি এবং নজরুল ইসলাম রাজসহ আটককৃতদের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য জানানো হয়নি। খবর : বিবিসি।