গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় ডাকাতি সংগঠিত হওয়ার ১০ ঘন্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে গাজীপুর মহানগর পুলিশ দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এসময় লুন্ঠিত দুটি মহিষ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিক-আপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার আসামীরা হলো, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার জলছত্র গ্রামের ইয়ারহামের ছেলে মোঃ মাসুদ (২৮) এবং টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল গ্রামের মৃত আব্দুল মিয়ার ছেলে জুয়েল রানা (২৮)।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) মো: জাকির হাসান জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা পশুরহাট থেকে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা মঠবাড়ীয়া এলাকার রানা মন্ডল নামে এক খামারী ২টি মহিষের বাচ্চা ক্রয় করে। পরে গাজীপুরের কালিগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা মঠবাড়ীয়া মহিষের বাচ্চা দুটি আনার জন্য একদিন সন্ধ্যায় ১২ হাজার টাকায় একটি পিকআপ ভাড়া করে। পিক-আপে করে ২টি মহিষের বাচ্চা নিয়ে গাজীপুরের কালীগঞ্জে আসার পথে গত ৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুরের কোনাবাড়ী বাইমাইল ব্রীজের সামনে পৌছলে ৭/৮ জন ডাকাত দল সড়কে ব্যাড়িকেট পিকআপটির দিয়ে গতিরোধ করে। পরে চালক পিকআপ থামালে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পিক-আপসহ মহিষ দুটি লুটে নেয়। পরে পিকআপ চালক কুষ্টিয়ার ইসরামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন হরিনারায়নপুরের সামসুল আলমের ছেলে আরিফুল বাদী হয়ে জিএমপি কোনাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, পিকআপ চালক রফিকুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে শুক্রবার (১লা অক্টোবর) সাভারের ধামরাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে লন্ঠিত মহিষ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ উদ্ধার করা হয়েছে।