গণবাণী ডট কম:
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠনের চিঠির প্রসঙ্গে জাতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, যারা এধরনের চিঠি দিয়েছেন, তারা অসত্য তথ্য দিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তারাই এ ধরনের কথা বলতে পারেন। র্যাবের দুই একজন সদস্য খারাপ থাকতে পারে, আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি হবে। এজন্য ঢালাওভাবে পুরো বাহিনীকে দোষারোপ করা যাবে না।
রোববার বিকেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (বিডিইউ), বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ” বঙ্গবন্ধু জীবন ও মোড়ক উন্মোচন ও মুজিববর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, গাজীপুরের অতির্কিত পুলিশ সুপার সানজিনা আফরিন, কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামাল হোসেন, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান প্রমুখ।
কিভাবে র্যাবের মূল্যায়ন করেন জনতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যে কোনো মানুষের সফলতা ব্যার্থতা থাকে। র্যাব একটি বিরাট বাহিনী এখানে এক দু-চারজন খারাপ থাকতে পারে। তার অর্থ এই না একজন দুজনের খারাপ কর্মের জন্য একটা সম্প্রদায়কে খারাপ বলে বলা যাবে। তেমনি র্যাাবের যদি ৫-১০ জন কর্মী বা সদস্য খারাপ নেই তা আমি মনি করি না। খারাপ থাকতে পারে। তাদের আইনুগভাবে বিচার হবে, শাস্তি হবে কিন্তু সামগ্রিক ভাবে একটা বাহিনীকে দোষারোপ করা এটা সম্ভব না।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন , বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি স্থাপন করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশকে টেকসই করার অন্যতম উদ্দেশ্য হল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আন্তর্জাতিক মানের এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনারকে কৃতজ্ঞতা জানাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ এর ডিজিটাল বাংলাদেশকে টেকসই করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় উপাচার্য মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, বিশ্ব এখন জোর পায়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে। বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে, এই শিল্প বিপ্লবের জন্য রোবটিক্স, আর্টফিশিয়াল, ইন্টেলিজেন্স, মেকানিক্স, ন্যানো টেকনোলজি এবং বায়োটেকনোলজির মতো প্রোগ্রাম গুলোতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে। করোনা মহামারীর মধ্যেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রক্টরড রিমোট এক্সাম সফটওয়্যার (PRExa) ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেছে। যা বাংলাদেশে একটি বিরল দৃষ্টান্ত।