গণবাণী ডট কম:
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেছেন, আমাদের দেশে প্রতি বছর বিভিন্ন ধরণের যে পরিমাণ ফল উৎপাদিত হয়, তা দিয়ে মোট দেশীয় চাহিদার মাত্র শতকরা ৪৪ ভাগ চাহিদা মেটানো যায়। তাই ফলের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি করতে হয়। তাই আমরা দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানী ব্যয় কমিয়ে আনতে চাই।
তিনি গতকাল বুধবার বারি’র উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের আয়োজনে নারিকেলের সমন্বিত ফসল ব্যবস্থাপনা শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এজন্য প্রয়োজন ফল গাছের সঠিক ব্যবস্থাপনা। বিশেষ করে নারিকেল গাছের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে কৃষকেরা মনে করেন এর কোনো যত্ন নেওয়া লাগে না। কিন্তু এ ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। নিয়মিত কীটনাশক, ছত্রাকনাশক, সার প্রয়োগের মাধ্যমে সঠিক ব্যবস্থাপনায় ডাব বা নারিকেলের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। আমি আশা করি, আজকের এই মাঠ দিবসের মাধ্যমে এখানে উপস্থিত কৃষকেরা নারিকেল গাছের সঠিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের মাধ্যমে তার সঠিক প্রয়োগ করে লাভবান হতে পারবে।
বারি’র ফল গবেষণা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)’র এনএটিপি ফেইজ-২, পিআইইউ, ঢাকার ফার্মগেটের ‘বাংলাদেশে নারিকেলের অধিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য সমন্বিত ফসল ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির উদ্ভাবন’শীর্ষক প্রকল্প অর্থায়ন করে। এতে বারি‘র বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কৃষক প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। মাঠ দিবসে নারিকেলের সার ব্যবস্থাপনা, রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনার উপর গবেষণা ফলাফল সরেজমিনে কৃষকদেরকে দেখানো হয়।
বারির উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোছাম্মৎ সামছুন্নাহারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বারি‘র পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. আব্দুল লতিফ আকন্দ, প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ও ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল চন্দ্র সরকার ও ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান।