গণবাণী ডট কম:
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ভাওয়াল বীর আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার রায় আপিল বিভাগে আটকে আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যার বিচার আমরা করতে পেরেছি। হাইকোর্টের রায়ও পেয়েছি। আপিল বিভাগে মামলাটা আটকে আছে। বিশ্বাস করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপিল বিভাগে আমরা রায় পাব এবং মামলার দণ্ডিত আসামিদের রায় কার্যকর করা হবে।’
তিনি বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টার সত্যিকার অর্থে একজন শ্রমিক নেতা ছিলেন। তিনি শিক্ষক থেকে শ্রমিক নেতা হয়েছেন। ‘সেই অপশক্তি যারা তাকে হত্যা করেছে, তারা এখনো বাংলাদেশটাকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’
নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব পালন করবেন জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি অহেতুক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বিএনপির কর্মকাণ্ড মানুষ ভোলে নাই। তাদের নেতা নাই। বিদেশে একজন পলাতক খুনের আসামি যাদের নেতা, সেই দলকে মানুষ গ্রহণ করবে না। নির্বাচন নিয়ে কথা বলে দলটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে।’
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশিউর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদের সভাপতি হারুন অর রশিদ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি গনি মিয়া বাবুল, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ কাজল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে আহসান উল্লাহকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এতে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগের। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়। ওই মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট। সাজা কমে সাতজনের। খালাস পান ১১ জন।
আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর সদর ও টঙ্গী এলাকা নিয়ে গঠিত গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দুই দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
আহসান উল্লাহ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য থাকার পাশাপাশি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।