গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী বিরুদ্ধে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের নাম ফয়সাল আলম খান (৩৩)। তিনি সিলেটের রইছ আলী খানের ছেলে। তিনি টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে রংমিস্ত্রির কাজ করতেন।
এ ঘটনায় আটক স্ত্রীর নাম মোর্শেদা (৪৪)। তার বাড়ী রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার সাদিপুর গ্রামে।
জিএমপি টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ জানান, ১৩ বছর আগে ফয়সালকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মোর্শেদা। মাসখানেক আগে তারা ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। ফয়সালের পরিবারের সঙ্গে মোর্শেদার কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাদের সংসারে কোনো সন্তানও নেই। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। দুই সপ্তাহ আগেও তাদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে ফের তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
তিনি আরো জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেলা ১১টার দিকে ঝগড়া শুরু হলে মোর্শেদা উত্তেজিত হয়ে হাতের কাছে থাকা শিল দিয়ে ফয়সালের মাথায় আঘাত করেন। পরে গামছা গলায় পেঁচিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনার পর মোর্শেদা থানায় এসে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে মোর্শেদাকে নিয়ে তাদের ভাড়া বাসায় যায় পুলিশের একটি দল। সেখানে ফয়সালের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মোর্শেদা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’