গণবাণী ডট কম:
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, তেলের দাম বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। মন্ত্রী আরো বলেন, নৌপথ সড়কপথের পরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বয় করা হয়েছে। তেলের দাম বাড়ার কারণে এ পথের ভাড়া বাড়বে কি বাড়বে না, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মন্ত্রী মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডাবল রেল লাইনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের পর গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় রেলমন্ত্রী আরো বলেন, রেলগেট দেওয়া হয় মূলত রেলের নিরাপত্তার জন্য। আমার দায়িত্ব ট্রেনের নিরাপত্তা দেওয়া। যারা রেললাইন পার হচ্ছেন তাদের সচেনতার সঙ্গেই লাইন পার হতে হবে। রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে সেটার দায়িত্ব রেলওয়ে নেবে না।
এসময় রেলমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জয়দেবপুর থেকে টঙ্গী ১২ কিলোমিটার ডাবল রেললাইন চালু করা হবে।
রেল মন্ত্রী আরো বলেন, রেলের ২৫ হাজার জনবল ঘাটতি রয়েছে। এজন্য রেলে জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নিয়োগ কার্যকর করা হবে।
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো: কামরুল ইসলাম, ডাবল লেন প্রকল্পের পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসরীন পারভীন ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি মো: মাসুদুর রহমান,জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলামসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ডবল লেন প্রকল্প সম্পর্কে নাজনীন আরা কেয়া জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার কমলাপুর থেকে জয়দেবপুর জংশন পর্যন্ত রেলপথ ফোর লেনে উন্নীত করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর জংশন পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পথ রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেলপথের ডবল লেনটি চালু হবে।
ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফ কন কল্পতরু এ ডবল লাইনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।