গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানাধীন পাড়ানটেক এলাকায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তিনি শনিবার রাতে নিজ ঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহননকারীর নাম তামান্না খাতুন (২২)। তিনি নড়াইল সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের মেয়ে এবং তিনি পুবাইল থানার পাড়ানটেক এলাকার বিপ্লব মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, পুবাইল এলাকায় একটি তৈরী পোশাক কারখানায় তামান্না ও বিল্পব একই সাথে কাজ করতো। সে সূত্রে প্রথমে তাদের সাথে ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় এক বছর আগে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা মহানগরীর পুবাইল থানাধীন পাড়ানটেক এলাকায় একটি টিনশেড ঘরে ভাড়া থাকতো। কিছুদিন যাবত তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। গত শনিবার বিপ্লবের এক বন্ধু মোবাইল ক্রয় করার জন্য বিপ্লবকে সাথে নিয়ে ঢাকায় যায়। সেখান থেকে রাতে ঘরে ফিরে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। পরে জানালা দিয়ে ঘরের ভিতর আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তামান্নাকে ঝুলে থাকতে দেখে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তামান্নাকে মৃত অবস্থায় পায়। পরে পুলিশের খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ নামায়। এসময় তামান্নার লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে লেখা ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
জিএমপির পুবাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) আতিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে। আত্মহত্যার সময় ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল, দরজা ভাঙ্গার আলামত পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলার হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইডাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে লেখা ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’ প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।