গণবাণী ডট কম:
টয়লেটে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল উভয়ই থাকলে সেটাকে পরিপূর্ণ টয়লেট বলা যায়। গাজীপুর মহানগরীর ৪০ শতাংশ টয়লেটে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল কোনোটিই নেই। প্রায় ৫০ ভাগ টয়লেটে সেপটিক ট্যাংক থাকলেও সোকওয়েল নেই। এসব অপরিপূর্ণ বা আংশিক পরিপূর্ণ টয়লেট থেকে মল এবং বর্জ্য পানি সরাসরি ড্রেনে বা খোলা জায়গায় যাচ্ছে। এতে করে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুর বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ‘পরিপূর্ণ টয়লেট তবেই পরিপূর্ণ বাড়ি’ শীর্ষক প্রচারাভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
এতে আরো জানান হয়, বাংলাদেশ জাতীয় নির্মাণ বিধিমালা ২০২০ অনুসারে প্রতিটি বাড়িতে অবশ্যই পরিপূর্ণ টয়লেট ব্যবস্থা থাকতে হবে যেখানে টয়লেটের সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল থাকতে হবে। ২০২২ সালের মধ্যে নগরীর সকল বাড়িতে পরিপূর্ণ টয়লেট স্থাপন আবশ্যক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে টঙ্গী উন্মুক্ত থিয়েটারে মাধ্যমে একটি সচেতনতা মূলত নাটক ও তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা করা হয়।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) এএসএম সফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ। বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (যুগ্ম সচিব) মো. মোতাহার হোসেন, ডুয়েটের অধ্যাপক ড. শওকত ওসমান সরকার, অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আকবর হোসেন, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মজিবুর রহমান কাজল, এমএমবি প্রতিনিধি রুহুল আমীন মুন্সি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নগরীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা, নগরের বাড়ির মালিক ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা নগরবাসীকে নিরাপদ স্যানিটেশনের প্রয়োজনীয়তা ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর আচরণগুলো পরিবর্তন করে সুস্থ আচরণে অভ্যস্থ ও সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল স্থাপনে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন বলেন, ‘বাসা বাড়িতে নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে আমাদের প্রয়োজন নাগরিকদের সহযোগিতা। বাড়িতে যদি টয়লেটের সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল না থাকে তবে সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলো সফল হবে না। আমরা নগরব্যাপী পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিতে এই ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই গাজীপুর নগরের প্রতিটি বাড়ির টয়লেটের সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল থাকবে।’
তিনি বলেন, নাগরিকদের সুস্থতা ও নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে পয়ঃবর্জ্য শোধনাগার স্থাপন, টঙ্গীতে সুয়ারেজ শোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- পয়ঃবর্জ্য শোধনাগার স্থাপন, টঙ্গিতে সুয়ারেজ শোধনাগার নির্মাণ অন্যতম। এছাড়া যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেপটিক ট্যাংক থেকে মল অপসারণ এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে বিশেষভাবে তৈরি গাড়ির-ভেকুট্যাগের মাধ্যমে নিরাপদে পরিবহন করে শোধনাগারে নিয়ে পরিশোধনের ব্যবস্থা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নগরীর এক ও চার নম্বর অঞ্চলের ১২টি ওয়ার্ডে এ কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে।