গণবাণী ডট কম:
মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগে স্বাক্ষর করায় চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীল স্থানীয় একটি পত্রিকার অফিসে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এমন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হামলায় আহত শাখাওয়াত হোসেন স্বপন। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মঞ্জু ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেন বিপ্লব,ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মাহেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্য ও ভুক্তভোগীরা জানান, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ইকবাল হোসেন সারোয়ার (৩৮) মাদক ব্যবসায় জড়িত। এ কারণে স্থানীয় ফুলদীসহ আশপাশের এলাকার যুব সমাজ মাদক সেবনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। এতে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিগ্নিত হচ্ছে।
শাখাওয়াত হোসেন স্বপন জানান, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার জন্য এলাকাবাসী ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। তিনি তাতে স্বাক্ষর করার কারণে গত ১ অক্টোবর ফুলদী বাজারে যাওয়ার সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ইউপি সদস্যসহ ১৪/১৫ জন তার গতিরোধ করে। পরে তারা দেশী অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। এসম স্বপনের ডাকচিৎকারে তার পিতা শাজাহান শেখ (৬০) এবং দুই চাচা আব্দুল কাদির শেখ (৬৫) ও জাহাঙ্গীর আলম শেখ (৫২) ঘটনাস্থলে এগিয়ে যান। এক পর্যায়ে তাদেরকেও পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন ও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। পুনরায় কারো কাছে অভিযোগ করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ইউপি মেম্বর ও তার লোকজন চলে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠায়।
সাখাওয়াত হোসেন স্বপন অভিযোগ করেন, এ ব্যাপারে তিনি বাদী কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দাখিল করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগকারীরা তাঁর নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধী। সাখাওয়াত হোসেন স্বপন আমার মা’য়ের পায়ে মোটরসাইকেল তুলে দেওয়ায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উল্টো তারাই আমাদের ওপর হামলা ও দোকান লুটপাট করে। আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আমি অন্য মামলায় জেল হাজতে ছিলাম।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।