গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে প্রথম শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার দারোয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার ঐ ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতার আসামীর নাম অলিউল্লাহ (৪৩)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার ঢাকি এলাকার ধানাই মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন হরিণের চালা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তিনি স্থানীয় জামিয়াতুল মাস্তুরাত তালিমিন ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার দারোয়ান হিসেবে কর্মরত আছেন।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় ওই ছাত্রী পিতা-মাতার সাথে বসবাস করেন। জামিয়াতুল মাস্তুরাত তালিমিন ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগে থেকে প্রথম শ্রেণীতে অধ্যয়ন করছিল। গত ১০ অক্টোবর মাদ্রাসার দারোয়ান ও ছাত্রীকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা থেকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে অলিউল্লাহ ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। কিন্তু ছাত্রী ভয়ে বিষয়টি নিয়ে কাউকে কিছু বলেনি। সম্প্রতি ঐ ছাত্রী বাড়ীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঐ ছাত্রীর এক সহপাঠী বিষয়টি তার পিতা-মাতাকে জানায়। পরে গত ২৯ অক্টোবর রাতে এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মহানগরীর কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই দারোয়ানকে গ্রেফতার করে। রোববার সকালে তাকে গাজীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোনাবাড়ি থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক শওকত আলী জানান, রোববার গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে আদালতে ২২ ধারায় ওই ছাত্রীর জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে।