গণবাণী ডট কম:
স্তন ক্যান্সার বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে। এটি হরমোনাল, জেনেটিক বা নন-হরমোনালভাবে হতে পারে। বিশ্বে প্রতি ৮ জনে ১ জন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে শীর্ষে স্তন ক্যান্সার।
সুইডেন অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব, প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনার অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞগণ এমন মতামত দিয়েছেন।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্দকার মোকাররম হোসেন বিজ্ঞান ভবনে অনুষ্ঠিত ‘ইকো ফিকা’ উৎসব উপলক্ষে এই আয়োজনে অংশ নেন দেশ বিদেশের চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবারকে উৎসাহিত করে বিশ্বব্যাপী এ উৎসব পালন করে সুইডিশরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন এবং আলোচক হিসেবে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রুশকীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মুস্তাক ইবনে আইয়ুব, ঢাকায় সুইডেন দূতাবাসের রাজনীতি, ব্যবসা ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান অ্যানা সভান্টেসন, সুইডেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শোয়েব।
ড. মাকসুদ কামাল বলেন, স্তন ক্যান্সার বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে। এটি হরমোনাল, জেনেটিক বা নন-হরমোনালভাবে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে জীবনযাপনের ধরণ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন বিষয় নারীকে স্তন ক্যান্সারের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং সঠিক চিকিৎসার ফলে এর প্রতিরোধ সম্ভব।
বাউবির প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানি, শিক্ষাবিদ ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. মাহবুবা নাসরীন বলেন, “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে
প্রতিবেশবান্ধব খাদ্যাভ্যস তৈরি ও স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। অতিতের চেয়ে এখন ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে জানার সুযোগ অনেক বেশি। স্তন্য ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, এতোদিন এই ক্যান্সারের ব্যাপারে নারীদের সচেতন করার জোরটা ছিল বেশি, কিন্তু এখন পুরুষদেরও সচেতন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। গ্রামের নারীরা এ ঝুকিঁর মধ্যে বেশি রয়েছে। বিশ্বে প্রতি ৮ জনে ১ জন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে শীর্ষে স্তন ক্যান্সার। দেশের স্তন ক্যান্সারের রোগীর মধ্যে ৯৮ শতাংশই নারী। প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার নারী এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। ব্রেস্ট ক্যান্সার এর ঝুঁকি এখন যেভাবে বাড়ছে তাতে আজকের এই সচেতনতামূলক সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য