গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে বুধবার রাতে আসামী ধরার সময় পুলিশের সাথে গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এসময় একটি বিদেশী পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি-মিডিয়া) চৌধুরী মো: তানভীর জানান, মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি ছিনতাই মামলার এজাহারনামীয় আসামী মো: পলাশকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডস্থ বিমানবন্দরে যাওয়ার সড়কের সামনে থেকে ৮ নভেম্বর পৌনে ১২টার দিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর পলাশ জানায় ঐ মামলার অপর এজাহার নামীয় আসামীরা মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বিশ্ব ইস্তেমার মাঠের দক্ষিণ পূর্ব কোনে তুরাগ নদের আশপাশে অবস্থান করছে। পরে জিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এর একটি চৌকশ অভিযানিক দল এবং টঙ্গী পশ্চিম থানার রাত্রীকালীন টহলরত পুলিশ সদস্যগণ গ্রেফতার আসামী পলাশকে নিয়ে গত ৯ নভেম্বর রাত সোয়া ১টার দিকে উল্লেখিত স্থানে অভিযান চালায়। এসময় আসামীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্যে করে অতর্কিতভাবে হামলা করে ও গুলি বর্ষণ শুরু করে। তখন পুলিশ জানমাল ও সরকারী সম্পত্তি রক্ষার্থে এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে পাল্টা গুলি করে। এসময় পুলিশ পুরিদর্শক (নিঃ) খন্দকার ফরিদ হোসেনসহ সঙ্গীয় ৩ জন কনস্টেবল জখম প্রাপ্ত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে ৩জন আসামী আহত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। উল্লেখিত ঘটনায় জখমী পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার নিমিত্তে একই হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার পুলিশ সদস্যদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করেন।
এ ঘটনায় গ্রেফতার অপর আসামীরা হলো, আমিনুল ইসলাম স্বপন (৩৪), নূর মোহাম্মদ (৩৫), মোঃ ইসমাইল (৪২), মোঃ মোমেন মিয়া (৬০), মোঃ বিল্লাল হোসেন (৪৭)।
গ্রেফতারের সময় আসামীদের কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি. ১টি স্টিলের চাপাতি, ১টি কাঠের হাতলযুক্ত ছোরা, ১টি লোহার রড, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৭ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার আসামীদের মধ্যে ৩জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকী ৩ জনকে বুধবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে আসামীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।