গণবাণী ডট কম:
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন গড়বাজাইল এলাকায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও সন্তান ধারণ ঘটনায় জড়িত আসামীকে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতার আসামীকে গত বুধবার সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতার আসামীর নাম মোঃ নাহিদ মিয়া (২৪)। তিনি ময়শনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার বাসনা গ্রামের মোঃ মোরশেদ আলীর ছেলে।
র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী স্পেশালাইজ কোম্পানী কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, আসামী মোঃ নাহিদ মিয়া ভিকটিমের দুঃসম্পর্কের মামাতো ভাই হওয়ার সুবাদে মাঝে মাঝে ভিকটিমের বাড়িতে যাওয়া আসা করত। এ সুযোগে গত ২০২০ সালের ৮ মে ভিকটিমের পিতা বসত বাড়িতে না থাকার সুযোগে আসামী নাহিদ জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ফলে ভিকটিম অন্তসত্তা হয়ে যায়। ধর্ষণের পরে ভিকটিমকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ফুসলাইয়া সামাজিক সম্মানের ভয় দেখিয়ে ও ভুল বুঝিয়ে দুই পরিবারের সম্মতি নিয়ে বিয়ে করবে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। পরবর্তীতে আসামী ভিকটিমের সাথে সম্পূর্ন যোগাযোগ বন্ধ করে আত্নগোপনে চলে যায়। পরে এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ময়মনসিংহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামীর আত্বগোপনে থাকার খবর পেয়ে র্যাব-১ এর আভিযানিক দল ছায়াতদন্ত শুরু করে।
তিনি আরো জানান, পরে গত ৮ নভেম্বর বিকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, উক্ত আসামী গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন বটতলা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে আছে। উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানী কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম ও স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জি এম মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল নাহিদ আটক করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করেছে।