গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীতে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ভূর্তকী মূলে বিক্রির জন্য সরকারের বরাদ্দ করা খোলা বাজারের আটা কালোবাজারে বিক্রির জন্য মজুদ ও পাচারের অপরাধে দুই ডিলার ও এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে জিএমপির পূবাইল থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৬টি আটা ভর্তি বস্তা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার আসামীরা হলো, চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার শেনগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে হারুনুর রশিদ (৫৫), ওএমএসের ডিলার গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সাতানীপাড়া গ্রামের মৃত লেহাজ উদ্দিন শিকদারের ছেলে আল আমিন (৩৫) এবং ডিলার গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানার হারবাইদ (নন্দিবাড়ী) এলাকার মৃত রহম আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম রানা (২৭)। তাদের বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের আদালতের মাধ্যেমে কারাগোরে পাঠানো হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম শুক্রবার সকালে এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সরকারি ভূর্তকীতে খোলা বাজারে নিত্যপন্য সুলভ মূল্যে বিক্রির প্রকল্প ওএমএস’র আটা কালো বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে অন্য কোথাও নিয়ে যাবার জন্য মহানগরীর পূবাইল থানাধীন হায়দরাবাদ এলাকার আক্কাছ মার্কেটের সামনে এক লোক অবস্থান করছে। এমন খবর পেয়ে পূবাইল থানার একটি অভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালিয়ে মোঃ হারুনুর রশিদ নামে একজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৬টি আটা ভর্তি সাদা রংয়ের বস্তা উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তার গায়ে লেখা আছে ‘‘খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সুলভ মূল্যে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুতকৃত আটা, নেট ওজন ৫০ কেজি, প্রস্তুতকারকঃ প্রগতি ফুড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (প্রাঃ) লিঃ, আউচপাড়া, নিশাতনগর, টঙ্গী, গাজীপুর’। প্রতি কেজি আটার মূল্য ৫৫ টাকা হিসেবে সর্বমোট মূল্য ১৬ হাজার ৫শত টাকা। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ তিনি জানান, আল আমিন ও মোঃ আরিফুল ইসলাম রানা খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএস‘র ডিলার। তারা গাজীপুর মহানগরীর বড়দী এলাকায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে ওএমএস‘র চাউল. আটা ইত্যাদি বিক্রি করেন। পরে তার দেয়া তথ্য মতে মহানগরীর সদর থানাধীন শশ্মান শ্বশান ঘাট এলাকা থেকে ওএমএস’র ডিলার আল আমিন এবং পূবাইল থানাধীন নন্দীবাড়ী এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম রানাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, তারাসহ পলাতক আসামী গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানাধীন মাশক গ্রামের মোঃ মনির হোসাইনের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পরস্পর যোগসাজসে ওএমএস’র আটা নির্ধারিত স্থানে বিক্রি না করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় কালোবাজারী করে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে। তাদের এ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত ওএমএস এর আটা ও চাউল নির্ধারিত স্থানে তদারকি কর্মকর্তার অধীনে বিক্রয় না করে অর্থ্যাৎ খোলা বাজারে খাদ্যসশ্য বিক্রয় (ওএমএস) নীতিমালা-২০২২ অনুসরন না করে সরকারি আটা ও চাউলের বস্তা পরিবর্তন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বস্তা ব্যবহার করে কালোবাজারির মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে।
তিনি জানান, এব্যাপারে পূবাইল থানা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই্) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৫/২৫-ঘ ধারায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।