গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থেকে এক শিশুকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেয়ার পর পুলিশ দুইদিন পর ছয় মাসের শিশুকে উদ্ধার করেছে। এসময় অপহরণকারী নারী ও শিশুর ক্রেতা ছেলে সন্তানহীন এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম মাহাদী হোসাইন (৬ মাস)। তার পিতা ইদ্রিস মন্ডল ও মাতা রোকেয়া। তাদের দেশের বাড়ী জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার পোড়াবাড়ি গ্রামে। তারা শিশু সন্তানকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানাধীন করমতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। ইদ্রিস মন্ডল হকিারি করেন এবং তার স্ত্রী রোকেয়া একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো,নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার নোয়াগাও গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের মেয়ে জিনা বেগম ওরফে লতা (২৮) এবং শিশুর ক্রেতা গাজীপুর মহানগরীল টঙ্গী পূর্ব থানাধীন আমতলীর কেরানীটেক এলাকার সুমনের স্ত্রী আঁখি বেগম (৪০)।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সহকারী কমিশনার (ডিবি-মিডিয়া)চৌধুরী মো: তানভীর এ সব জানান।
তিনি আরো জানান,শিশুটির পিতা-মাতা গত ১০ মাস ধরে পূবাইল থানার করমতলা এলাকার আমির হোসেনের বাড়িতে সন্তান নিয়ে ভাড়ায় থাকেন। হকারি করে পন্য বিক্রির সুবাদে ইদ্রিস মন্ডলের সাথে জিনা বেগমের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে জিনা বেগম তাদের বাসায় আসা-যাওয়া শুরু করেন জিনা। গত ৮ নভেম্বর বিকালে জিনা বেগম এসে শিশুটির মাকে খাবার দিতে বলেন। এসময় ইদ্রিস মন্ডল বাড়ীতে ছিলেন না। শিশুটির মা খাবার আনতে রান্নাঘরে গেলে জিনা বেগম শিশুটিকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও শিশুটিকে না পেয়ে বৃহস্পতিবার জিনাকে আসামি করে পবাইল থানায় মামলা করেন ইদ্রিস মন্ডল। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার আমতলী (কেরানীরটেক) বস্তিতে আঁখি বেগমের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এসময় জিনা বেগম ও আখিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আঁখি পুলিশকে জানান, তার চার মেয়ে রয়েছে। কোনও ছেলে সন্তান না থাকায় তিনি ১৩ হাজার টাকা দিয়ে ওই শিশুকে কিনে নেন। বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।