গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীতে ওএমএসের আটা কালোবাজারে বিক্রির দায়ে ৩ জনকে গ্রেফতারের ৪ দিনের মাথায় মহানগরীর চতর বাজারে সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে খোলাবাজারে (ওএমএস) এ বিক্রির চাউল কালোবাজারে ক্রয়কৃত ৩২০ বস্তা চাউল জব্দ করেছে জিএমপির সদর পুলিশ। এসময় ঘটনায় জড়িত চতর বাজারের ব্যবসায়ী বিশ্বাস ষ্টোরের মালিক সাইফুল ইসলাম স্বপন (৩৭) ও তার কর্মচারী আফজাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃত স্বপন গাজীপুর মহানগরীর শিমুলতলী এলাকার সারোয়ার হোসেন মন্ডলের ছেলে এবং আফজাল কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানা এলাকার সামসুল হকের ছেলে।
এর আগে গত গত বৃহস্পতিবার মাহনগরীর পুবাইল এলাকা হতে কালোবাজারে বিক্রি ও পাচারের উদ্দেশ্যে ওএমএসের আটা মজুদ করার অপরাধে ২ ডিলার ও এক ডিলারের ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুবাইল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ জনের ডিলারশীপ বাতিল করে জেলা খাদ্য বিভাগ।
জিএমপি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল ইসলাম জানান, গোপন সূত্রে আমরা জানতে পারি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকার ভুর্তকী দিয়ে ন্যায্যমূল্যে নিত্য পন্য চাউল ও আটা ওএমএস ডিলারের খোলা বাজারে মাধ্যমে বিক্রি ব্যবস্থা করেছে। একটি অসাধু চক্র গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নির্ধারিত চাউল কালোবাজারীর মাধ্যমে ক্রয় করে মহানগরীর চতর বাজার এলাকার বিশ্বাস স্টোরে মজুদ করেছে। এমন খবর পাওয়ার পর সোমবার রাত ৭টার দিকে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে দোকানের স্টোরে মজুদ করে রাখা ৩২০ বস্তা ওএমএস এর চাউল জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এর সাথে আরো কারা জড়িত তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভূর্তকী দিয়ে সরকার বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে নিত্যপণ্য চাউল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রির কার্যক্রম (ওএমএস) চালিয়ে আসছে। খাদ্য অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন কররছে। ওএমএসের আওতায় সরকার ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করে।
সূত্র আরো জানায়, নিম্ন আয়ের ও গরীব মানুষের খাদ্য সংকটের কথা বিবেচনা করে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদেরও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কম মূল্যে চাউল দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায়ও সরকার নিম্ম আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করছে। কিন্তু একটি অসাধু চক্র ওই চাল বেশী দরে কালো বাজারে বিক্রি করছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, সরকারের জনকল্যাণমূখী এসব প্রকল্পের সাথে জড়িত যারাই অনিয়ম করবে তাদের কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। যারা গরীব মানুষের জন্য বরাদ্ধ করা খাদ্যপণ্য নিয়ে কারসাজি করছে তাদের খুজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।