গণবাণী ডট কম:
প্রথম কমিটি গঠনের প্রায় ৭ বছর পর শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলন।এ সম্মেলনকে ঘিরে মহানগরীর সর্বত্রই উৎসবের আমেজে সাজ সাজ রব সৃষ্টি হয়েছে। মহানগরীর টঙ্গী থেকে গাজীপুর ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠ পর্যন্ত সড়ক-মাহসড়ক, অলি-গলি রাজপথ সম্মেলনের প্রচার প্রচারণায় নতুন সাজে সেজেছে। ঘর থেকে বেরোলেই চোখে পড়বে নেতা কর্মীদের ছবি সম্বলিত বিশাল আকৃতির বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন এবং সুদৃশ্য তোরণ।
সম্মেলন উপলক্ষে মহানগরীর ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে নৌকার আদলে তৈরী করা হয়েছে সুদৃশ্য মঞ্চ। মাঠের চারপাশ বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার বিশাল আকৃতির বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। সারাদিনই নেতাকর্মীরা মাঠে আসা যাওয়া করছেন, মাঠের পরিবেশ দেখছেন। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নেতৃত্ব কারা পাচ্ছেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের মার্চে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে সভাপতি এবং জাহাঙ্গীর আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা হয়। এরও প্রায় দুই বছর পর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পুর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির কারণে জাহাঙ্গীর আলম বহিস্কার হলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পদেকের দায়িত্ব পান ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল।
এমতাবস্থায় সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে আহবায়ক করে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। তারপর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে স্থান করে নিয়েছে এ সম্মেলন।
গাজীপুরকে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বলা হয়ে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর হবে রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের বছর। সরকার বিরোধী যে কোন আন্দোলন প্রতিরোধে গাজীপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। গাজীপুর হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ বলা হয়ে থাকে। সরকার বিরোধী আন্দোলনের ডাক ও আগামী জুন মাসের দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তারপরেই রয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এসব কারণে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি মহানগরবাসির কাছেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বর্তমান সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিমউদ্দিন বুদ্দিনের পক্ষে প্রচারণা শোভা পাচ্ছে। তবে কেউই প্রকাশ্যে নিজেদের প্রার্থীতা নিয়ে মুখ খুলেননি। তবে,সভাপতি পদ নিয়ে মৌনতা থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন প্রায় ডজন খানেক নেতা। তাদের শুভেচ্ছা বার্তা, দোয়া প্রার্থনা সম্বলিত বিলবোর্ড, পোস্টার, ফেস্টুন এবং তোড়ণে ছেয়ে গেছে মহানগরীর অলি-গলি রাজপথ। ইতিমধ্যে মহানগরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ী মাঠে সম্মেলনের মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত না হলেও এর চারপাশ ঢেকে ফেলা হয়েছে বড় বড় বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে। এসব প্রচারপত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি প্রার্থীদের হাসি মুখের ছবি নগরবাসীর নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, জাহিদ হাসান রাসেল তিনবারের সংসদ সদস্য এবং ভাওয়াল বীর, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে। আহসান উল্লাহ মাস্টার জীবদ্দশায় শ্রমিক নেতা হিসেবে আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন সংগ্রামে গৌরবময় ভূমিকা পালন করেছেন। এখানে জাহিদ আহসান রাসেল গাজীপুর সদরের এমপি হওয়া সত্বেও তিনি কোন দলীয় পথ-পদবী পাননি। ফলে সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও দলীয় অনেক কার্যক্রমে তিনি যথাযথ মূল্যায়ন বা দাওয়াত পান না। যেমন সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রথম দাওয়াত কার্ডে তার নাম ছিল না। পরবর্তীতে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাসেলের অনুসারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ব্যাপক সমালোচনা ও প্রচারণা চালানোর পর জেলা আওয়ামী লীগ দাওয়াত কার্ড সংশোধন করে জাহিদ আহসান রাসেলের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে রাসেলের অনুসারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনে করেন, এখন উচিত রাসেলের দলীয় পদ পদবী এবং দায়িত্ব গ্রহণ করা। আগামীতে সরকার বিরোধী যেকোনো আন্দোলন প্রতিরোধে রাসেল তার পিতার মতোই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। গাজীপুরে সরকারের পক্ষে অবিচ্ছেদ্য দুর্গ গড়ে তুলবেন। এমন প্রত্যাশা নিয়ে তারা জাহিদ আহসান রাসেলকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রত্যাশা করেন।
অপরদিকে, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ গঠনের পর থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আজমত উল্লাহ খান পুনরায় একই পদে ফিরবেন এমন প্রত্যাশা তার ভক্ত ও অনুসারীদের।
এদিকে, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ এবং অন্যান্যভাবে যাঁরা এগিয়ে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আতাউল্লাহ মন্ডল, ২ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাহিদ আহসান রাসেলের চাচা মতিউর রহমান মতি, সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন রিপন, সদস্য এডভোকেট আব্দুল হাদী শামীম, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান রাসেল সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন, গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল হালিম সরকার প্রমুখ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নয়টি সাংগঠনিক থানা রয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যে চারটি থানার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সম্মেলনের মধ্যে গাছা ও পুবাইল ও বাসন থানা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ঢাকঢোল পিটিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠান করেও মহানগরীর কোনাবাড়ি, কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানার কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। গাজীপুর মহানগরের সদর থানা, টঙ্গি পূর্ব ও পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। অর্থাৎ মহানগরীর নয়টি থানার মধ্যে মাত্র তিনটি থানা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, সম্মেলনে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচনের কোন সুযোগ থাকছে না। দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আগামীর দিনের সভাপতি ও সম্পাদকের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন এটি প্রায় নিশ্চিত। এ কারণে দলের কেউই সম্মেলন নিয়ে কোন রকম কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না। তাদের সবার একটি কথা নেত্রী যাকে চাইবেন তিনিই দায়িত্ব পাবেন এবং আমরা তাকেই নেতা হিসেবে মেনে নেব।
এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কর্ণেল ফারুক খান। প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ও দলের সভাপতিমন্ডলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ইমপি, এডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং শিক্ষামন্ত্রী ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি।
শুক্রবার বিকালে সরেজমিনে সম্মেলন স্থলে গিয়ে দেখা গেল, বিশাল আকৃতির নৌকা আদলে মঞ্চ তৈরী করে সাজানো হয়েছে। মঞ্চের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের জন্য আরো একটি ছোট মঞ্চ করা হয়েছে। তারপরে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং তারপরে অংশগ্রহণকারী জেলা এবং মহানগরর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কর্মীবৃন্দ বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু মঞ্চ অথবা সমবেত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর জন্য বসার স্থান কোথাও সামিয়ানা টাঙ্গানো হয়নি।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে অনেক নেতাকর্মী সামিয়ানা না টাঙ্গানোর কারণে উপস্থিত লোকজনের প্রখর রৌদ্রে কষ্ট হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন। তাদের ভাষ্য, অনেক নেতাকর্মী সমাবেশ স্থলে আগেভাগেই চলে আসবেন। ফলে তাদেরকে প্রখর রোদ্রের মধ্যে খোলা ময়দানে অপেক্ষা করতে হবে। এতে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের কষ্ট বাড়তে পারে।
শুক্রবার অপরাহ্নে মাঠে পাওয়া গেল এ সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের একজন, এডভোকেট আব্দুল হাদী শামীমকে। তিনি বলেন,প্রচার-প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কৃপায় আমি কাঙ্খিত পথ লাভ করব। এখানে এসেছি সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখার জন্য। আমরা আশা করছি, এই সম্মেলন একটি মহাসমাবেশে পরিণত হবে এবং এখানে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে। একটি সফল মহাসমাবেশের মাধ্যমে একটি যোগ্য নেতৃত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাছাই করে নিবেন।
মাঠেই পাওয়া গেল মহানগর আওয়ামী লীগের সদর থানা সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক ও সম্মেলনের মঞ্চ ব্যবস্থাপনার অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত এডভোকেট ওয়াজউদ্দিন মিয়াকে। তিনি জানান, ঢাকার নিকটবর্তী গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের একটি সংগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন। আমরা এ সম্মেলনকে মহাসমাবেশে রূপ দিতে চাই। আশা করছি লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে। বিপুল সংখ্যক জনসমাগমের কথা চিন্তা করে আমরা মঞ্চের কোথাও সামিয়ানা টাঙ্গানোর ব্যবস্থা করিনি, যাতে করে উন্মুক্ত স্থানে সকলেই খোলামেলা আবহাওয়ায় অবস্থান করতে পারেন। আশা করি এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারব। তিনি সম্মেলন সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলনে অধিকাংশ অতিথি হেলিকপ্টারযোগে আসবেন। তাদের মধ্যে ওবায়দুল কাদের মঞ্চের দক্ষিণ পাশে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে এবং অন্যরা ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাঠে হেলিকপ্টার থেকে এসে অবতরণ করবেন। পরে সেখান থেকে তাঁরা অনুষ্ঠান স্থলে আসবেন।
সম্মেলন উপলক্ষে মহানগরের প্রধান সড়ক সংস্কার এবং মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আওতায় আনা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন, গাজীপুর নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার বিরোধী যে কোন আন্দোলন প্রতিরোধে গাজীপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। গাজীপুর হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। গাজীপুরকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জও বলা হয়ে থাকে। সরকার বিরোধী আন্দোলনের ডাক ও আগামী জুন মাসের দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তারপরেই রয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এসব কারণে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ সম্মেলনকে মহা সমাবেশে পরিণত করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ সফল সম্মেলন আয়োজন করা। নেতাকর্মীরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের বিষয়ে সবই জানেন। তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকে বেছে নেবেন। আমি সভানেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেব।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল এমপি সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় মহানগরীর নেতৃত্ব নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক জনপ্রিয় রায় শীর্ষ পদে আসবেন এমন প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন সবকিছু নির্ভর করছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের উপর তিনি গাজীপুরের নেতৃত্বের জন্য যাকে যোগ্য মনে করবেন তারাই আগামী গাজীপুর মহানগরীর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের হাল ধরবেন।