গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় সামিম টেক্সটাইল মিলের তুলার গুদামে লাগা আগুন প্রায় ১৩ ঘন্টা পরে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষনে গুদামের প্রায় ৪ কোটি টাকার তুলা পুড়ে গেছে বলে দাবী করেছে মালিক পক্ষ।
স্থানীয় সূত্র ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় সাফারি পার্ক সড়কে অবস্থিত ওই কারখানায় সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রথমে গাজীপুরের শ্রীপুর ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট এবং পরে মহানগরীর জয়দেবপুর স্টেশন থেকে দুটি এবং শ্রীপুর থেকে আরও একটি মোট পাঁচটি ইউনিট গঠনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। গুদামের ভিতরে বিপুল পরিমাণ তুলা মজুদ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ বেগ পেতে হয়। পরে প্রায় ১৩ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, সোমবার রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় শামীম টেক্সটাইল মিলের তুলার গুদামে আগুন লাগে। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। আগুনের মাত্রা বাড়তে থাকায় পরে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ও শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের আরও একটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।
তিনি আরো জানান, প্রায় ১৩ ঘন্টার চেষ্টায় মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে, তখনো আগুন জ্বলছিল। তিনি জানান, আগুন এখন যে অবস্থায় আছে তা অন্য কোথাও ছড়াতে পারবে না। এঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি তিনি। তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে।
এদিকে, সামিম টেক্সটাইল মিলের পরিচালক আবুল খায়ের মানিক বলেন, আমাদের লোকজন রাত ১২টার দিকে গুদামে আগুন দেখতে পায়। পরে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে এসে মঙ্গলবার ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এসময় তিনি দাবী করেন, আগুন প্রাথমিকভাবে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি। পূর্ণাঙ্গ হিসাব করলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।