গণবাণী ডট কম:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) এর ২৫ বছরের সাফল্য ও অর্জনে আমি গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও বশেমুরকৃবি কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণাকালে এ কথা বলেন।
বর্ণাঢ্য আয়োজন ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে বশেমুরকৃবির ২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস গতকাল সোমবার উদযাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা কৃষির প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও গবেষণায় গুরুত্বারোপ করে কৃষি ভর্তুকী এবং গবেষণায় বিশেষ বরাদ্দ দিয়ে যাচেছ। তিনি খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্যের নিরাপত্তায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি কৃষির অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহার বৃদ্ধি করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সংরক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বছরের সাফল্য ও অর্জনে তিনি নিজে গর্বিত এবং এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
সকালে শান্তির প্রতীক পায়রা ও রং-বেরঙের বেলুন উড়িয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়। পরে বশেমুরকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের অংশ গ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে মূল অনুষ্ঠানস্থল বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে এসে সমাপ্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে মূল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত ২৫ বছরের সাফল্য ও অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন ইপসাকে পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেন। জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়টি সিমাগো র্যাং কিং, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নসহ শিক্ষা ও গবেষণায় দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ৬৭টি উচ্চফলনশীল জাত এবং ১৪টি টেকসই কৃষি প্রযুক্তি দেশের কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী এমপি। এছাড়াও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, শাহাদারা মান্নান এমপি, শামসুন্নাহার ভূইয়া এমপি, বাংলাদেশ বিমানের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।