গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী এলাকায় পারিবরীক কলহের জের ধরে স্ত্রী হত্যার ৬ বছর পর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)গাজীপুর জেলা। গ্রেফতারের পর আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নিহত গৃহবধূর নাম শিল্পী আক্তার শিলা (২২)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর মরিচের চালা এলাকার সোলেমানের মেয়ে।
গ্রেফতার আসামী ও নিহতের স্বামী মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩২)। তিনি মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার কমলাপুর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তাকে গত ২৫ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন লুটিয়ার চালা গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
তিনি আরো জানান,শফিকুল ইসলাম ভিআইপি ২৭ নং বাসের হেলপারের কাজ করতেন। শিল্পী আক্তার শিলার সাথে তার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ২০১১ সালে বিয়ে হয়। তারপর তারা মহানগরীর টঙ্গীস্থ এরশাদ নগর এলাকায় আসামীর মায়ের ভাড়া বাসাতে বসবাস করতে থাকে। ২০১৬ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর বিকালে শিলা তার খালা বেবী বেগমের বাড়ী হতে নিজ বাড়ীতে ফেরার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর টঙ্গী মডেল থানাধীন উত্তর দত্তপাড়া টেকবাড়ী মৃত আব্দুর রশিদের বাড়ীর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ একটি কক্ষ হতে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয় ও আশপাশের লোকজন থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিল্পী আক্তার শিলার অর্ধগলিত দুর্গন্ধযুক্ত লাশ উদ্ধার করে। এ সংক্রান্তে শিলার খালা বেবী বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, টঙ্গী মডেল থানা পুলিশ হত্যা মামলাটি তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন না করতে পেরে আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য স্বপ্রণোদিত হয়ে পিবিআই কে দায়িত্ব দেয়। মামলাটি তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় পিবিআই শিলার স্বামীকে গ্রেফতারকরে।
তিনি জানান, গ্রেফতারের পর আসামী হত্যাকান্ডে জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আসামী স্বীকার করেছে, শিল্পী আক্তার শিলা মাদকসহ বিভিন্ন উৎশৃঙ্খল কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিল। একারণে তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া বিবাদ হত। একারণে আসামীর মা তাদেরকে তার বাড়ী থেকে বের করে দেয়। পরে তারা টঙ্গীস্থ দত্তপাড়া টেকবাড়ী মৃত আব্দুল রশিদের বাড়ীতে ভাড়া থাকতো। ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতেও তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে ঐদিন রাত অনুমান ৪টার দিকে শিলা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আসামী গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের দরজা বাহির হতে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়।