গণবাণী ডট কম:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করলেও তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। তাঁর সেই শূন্যতায় দেশের স্বাধীনতা তখন অধরা ছিল। ১০ জানুয়ারি যখন বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে ফিরে আসেন, তখন যেন আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণ হলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আগে জনগণের কাছে যান। পরিবারের কাছে পরে গিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন,‘দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি বাবার কাছ থেকে। দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়াই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। যখনই সুযোগ পেয়েছেন বাঙালির জন্য কিছু করে গেছেন। তাঁর খুব আশা ছিল এদেশকে গড়ে তুলবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ফিরেই জাতির পিতা দেশ গঠনের রূপরেখা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তৃণমূলের মানুষকে শক্তিশালী করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জাতি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু এক টানা দুই বছর জেলখানার বাইরে থাকতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে কারাগারে শুধু বন্দি করেই রাখা হয়নি, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জেলখানার পাশে কবরও তৈরি করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে সেবা করার যে দায়িত্ব, ৯৬ তে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ শুরু করে, যা জনগণ অনুধাবন করে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি দিলে যে কোনো মূল্যে তা বাস্তবায়ন করে।
বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতি ডান, অতি বাম আর পাতি নেতারা মিলেছে বিএনপির সঙ্গে। কেউ ধাক্কা দেবে আর আওয়ামী লীগ সরকার পড়ে যাবে, এত সহজ নয়।