গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারেরর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি বৃহস্পতিবার সকালে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় এক কারারক্ষিকে সাময়িক বরখাস্ত ও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
মারা যাওয়া কয়েদির নাম নজরুল ইসলাম (৩০)। তিনি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাকে ২০২১ সালের ২০মার্চ কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তার কয়েদি নাম্বার ৪৯৭৬/এ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ৩৬৪/৩০২/২০১ দন্ডবিধি ধারায় স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ঐ মামলায় বিজ্ঞ আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। তাকে ২০২১ সালের ২০মার্চ কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তারপর থেকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে তাকে কারাগারের ভিতরে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে কারারক্ষিরা তাকে নামিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, কারাগারে তার আচরণে মানসিক সমস্যা লক্ষ করা যাচ্ছিল। এজন্য তার চিকিৎসা চলছিল।
তিনি দাবী করেন, সকালে বিষয়টি কারারক্ষিরা আমাদের নিকট গোপন করে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রধান কারারক্ষী হামিদ গাজী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষি ফাইজ উদ্দিন ও কারারক্ষী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনা তদন্তের জন্য জেলার লুৎফর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আইনী প্রক্রিয়া শেষে নজরুল ইসলামের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।