গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন সালনার ইপসা গেট এলাকায় রোববার সকাল ১০টার দিকে কেক খাওয়ার পর খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই সহোদর বোনের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আরেক শিশু। রোববার সকালে মরদেহ পুলিশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে রেখেছে।
মৃত্যুবরণকারী শিশুরা হলো, আশা মনি (৫) ও দেড় বছর বয়সী আলিফা। তারা গাজীপুর মহানগরীর সালনা ইপশা গেট এলাকায় মোল্লা পাড়ায় মা ও নানুর সঙ্গে একটি টিনশেড ভাড়া বাসায় থাকতো। তাদের মা ছহুরা স্থানীয় প্রীতি গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। তাদের পিতা আশরাফ আলী প্রায় এক বছর অন্যত্র থেকে এক সপ্তাহ আগে এসে তাদের সাথে আছে। আশরাফ আলীর গ্রামের বাড়ী শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার শুকান্দা গ্রামে।
এ ঘটনা অসুস্থ হয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে সিয়াম (৬ মাস)। সিয়াম ছহুরার ভাই হিরা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় একটি দোকান থেকে এক সাথে ১২টি কেকের একটি প্যাকেট কিনে এনে সেখান থেকে কেক ঐ শিশুদের খাওয়ানো হয়। এসময় শিশুরা বমি করে দেয়। সেই বমি খেয়ে বাড়ীর কয়েকটি মুরগীর বাচ্চা মারা যায়। পরে পরিবারের লোকজন দ্রুত শিশুদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আশা মনি ও আরিফাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় আলিফা সেও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকেও হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক আলিফাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: রফিকুল ইসলাম জানান, দুটি শিশুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মরদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে। সিয়াম নামে ছয় মাস বয়সী এক শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও গুরুতর। মারা যাওয়া শিশুদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
জিএমপি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা খাদ্যে বিষক্রিয়া শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। খাদ্যে কিভাবে বিষ এলো সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।