গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মানসিকভাবে অসুস্থ এক তরুণী পুলিশের প্রচেষ্টায় নিরাপদে বাড়ী ফিরে গেল। তরুণীকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্বজনেরা।
তরুণীর নাম মৌমিতা দাস (১৬)। তিনি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার গানপুর গ্রামের শিশু মোহন দাসের কন্যা।
স্থানীয়রা জানায়, গেল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঐ তরুণী এলোমেলোভাবে ঘুরাফিরা করছিল। গভীররাতে এভাবে একা ঘুরাঘুরি করাতে বিষয়টি এলাকায় টহল ডিউটিরত পুলিশের নজরে এলে পুলিশ সদস্যরা তরুণীকে নারী পুলিশের সহায়তায় বাসন থানায় নিয়ে যায়।
জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়ার জাহান জানান, গেল ২৮ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে বাসন থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মতিউজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্সসহ বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রাত্রীকালীন জরুরী মোবাইল ডিউটি করছিলেন। এসময় সেখানে মৌমিত দাসকে এলোমেলোভাবে ঘুরাঘুরি করতে দেখেন। গভীর রাতে একা থাকায় তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তিনি বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে নারী পুলিশের সহায়তায় থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। কথা বার্তায় ঐ তরুণীকে একটু অসংলগ্ন মনে হয়। পরে তার সাথে কথা বলে তার আংশিক ঠিকানা সংগ্রহ করে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার মুরাদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার রুহুল আমিন চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত করি। তিনি জানান, মৌমিতা দাস মাঝে মধ্যে কিছুটা মানসিক অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তখন কাউকে কিছু না জানিয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। একইভাবে ২৮ জানুয়ারি সকাল বেলায় কাউকে কিছু না জানিয়ে সে বাড়ী থেকে চলে যায়। পরে স্বজনেরা তাকে অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাচ্ছিল না।
তিনি আরো জানান, পরে ঐ মেম্বারের মাধ্যমে মৌমিতার পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয়। তার পিতা শারিরীকভাবে অসুস্থ্য থাকায় মামাতো ভাই নীল রঞ্জন দাস মৌমিতাকে নিতে বাসন থানায় আসেন। আইনী প্রক্রিয়া মেনে মৌমিতা দাসকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিকভাবে তার মামাতো ভাই নীল রঞ্জন দাসের জিম্মায় প্রদান করা হয়।