নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া (গাজীপুর) :
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে ট্রেনে কর্মরত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম সজীব চন্দ্র বর্মণ (৩৫)। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে উত্তরার জয়নাল মার্কেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
নিহত সজীব ‘এগারো সিন্ধু প্রভাতী ট্রেনের সুরুচি ফাস্ট ফুডে অস্থায়ী ক্লিনার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা টোক ইউনিয়নের গোসাবো গ্রামের মৃত অরুণ চন্দ্র বর্মণ ও রেখা রানী বর্মণ দম্পতির বড় ছেলে। ‘এগারো সিন্ধু প্রভাতী’ নামে ট্রেনটি ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাচ্ছিল। এ ট্রেনেই তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সজীবের সহপাঠী মিঠুন গোসামী বলেন, ঘটনার দিন সজীব শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। অসুস্থ শরীর নিয়ে সে ডিউটিতে যায়। ডিউটির কোন এক সময় সে ট্রেনের দরজায় কাছে গেলে মাথা ঘুরে বা অসাবধানতা বসত ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যায়। নিচে পড়ে গেলে মাথায়, হাতে ও পা ট্রেনে কাটা পড়ে। সে দুর্ঘটনা স্থলেই মারা যায়। তিনি আরো বলেন, সজীবের বাবার মৃত্যুর পর প্রায় ১৫ বছর আগে তারা সপরিবারে তাদের নানাবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে যায়। তারা তিন ভাই সজীব সবার বড় সজীবের ছোট রনি চন্দ্র বর্মন সৌদি আরবে থাকে। তার ছোট রাজিব চন্দ্র বর্মন সে থাকে ইটালিতে। সজীব বিয়ে করেছে চার বছর হবে। তার একটি তিন বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশের বিমানবন্দর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর জানান, ‘ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী এগারো সিন্ধুর প্রভাতি এক্সপ্রেস ট্রেনে থেকে উত্তরার জয়নাল মার্কেট এলাকায় পড়ে গিয়ে নিহত হন সজীব। এ ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এসআই আলী আকবর বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেন চলাচলের সময় সমীর গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে ট্রেনের ঝাঁকি লেগে কোনো না কোনোভাবে তিনি নিচে পড়ে যান। এতে তাঁর মৃত্যু হয়।’