গণবাণী ডট কম:
ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারির প্রত্যুষে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম পর্বে সকাল ৯টায় পদযাত্রার মাধ্যমে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে কনস্যুলেটে কর্মরতরা ভাষা আন্দোলনের মহান শহীদদের স্মৃতিচারণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের বিশেষ বাণী পাঠ করা হয়। শহীদদের রুহের মাগফেরাত, দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে প্রথম পর্ব শেষ হয়।
অপরদিকে, একুশের বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে জনকূটনীতির অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মাতৃভাষার বহুমাত্রিকতার প্রভাব তুলে ধরতে ‘Importance of Mother Tongue towards establishing a Liberal and Inclusive Global Order’ প্রতিপাদ্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালালি যুক্ত হয়ে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বক্তব্য দেন। তিনি রোমে স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনে ইতালি সরকারের সহযোগিতাকে সাধুবাদ জানান।
আলোচনা সভায়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে আব্দুল মান্নান মালিথা ও নাজমুল কবির জামান উত্তর ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে কনস্যুলেট ও অতিথি বক্তাদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও প্রধান বক্তা এম জে এইচ জাবেদ বলেন, ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার সম্মান সুরক্ষিত হয়েছিল। যার পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর সৃজনশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে অর্জন করে পরম কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বহুত্ববাদী, উদার ও গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণে মাতৃভাষা ও গণসংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশের বিকল্প নেই। বিদেশি আলোচকদের পাশাপাশি বিভিন্ন কনস্যুলেটের প্রতিনিধি ও ইতালীয় ভাষাভিত্তিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ আলোচনায় অংশ নেন।