গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা গেছে। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুবরণকারী কয়েদীর নাম আব্দুল বাতেন (৭০)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার শাহপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, আব্দুল বাতেন হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। এ কারণে আগেই তার দেহে রিং পড়ানো হয়। শুক্রবার রাতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঐ রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাতেনকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঐ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপি নেতা পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল। আব্দুল বাতেন ঐ মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে তাকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। তারপর থেকে তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার কয়েদী নাম্বার ১৬৫০/এ।
কারা সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে হাইকোর্ট আব্দুল বাতেনসহ ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। তাদের মধ্যে পিন্টু কারাগারে মারা গেছেন। তোরাব আলী খালাস পান।