নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া (গাজীপুর) :
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দিনব্যাপী প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘোড়া, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি, কবুতরসহ পশুপাখির খামারী ও বিভিন্ন ঘাস চাষীসহ ঔষধ কোম্পানি অংশগ্রহণ করেন।
কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণী সম্পদ বিভাগ ও ভ্যাটেরেনারী বিভাগ এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
অনুষ্ঠানে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান সভাপতিত্ব করেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম উকিল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমানত হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান ও কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম নাসিম প্রমূখ।
প্রধান অতিথি সিমিন হোসেন রিমি বলেন, আমাদের এটা মনে রাখতে হবে। প্রোটিন উৎপাদন বাড়াতে হবে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে হবে। তাই প্রোটিন নির্ভর কর্মসংস্থানের তৈরি করতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটা মানুষের কিভাবে কর্মসংস্থান হয় ও চাহিদা মেটে তাই নিয়ে কাজ করছে। তাই মানুষের যেন কর্মসংস্থান হয় মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটে সেজন্য প্রচেষ্টা নিতে হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান মিয়া জানান, এই প্রদর্শনীর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে খামারী চাষী কোম্পানি ও প্রাণিজ ভুগি সাধারণ মানুষ যারা আছেন তাদের সকলকে নিয়ে একটি আয়োজন। বিভিন্ন স্টলে প্রাণিজ খাদ্য ঘাস যেমন ভুট্টা, লাল নেপিয়ান যারা জার্মান নেপিয়ান পাকচং-১ হাইজোফনিকসহ বিভিন্ন ঘাস প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি তাদের বিভিন্ন ঔষধের গুণাবলী ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের নিশ্চিতকরণের জন্য এই প্রদর্শনের মূল উদ্দেশ্য।
দিনব্যাপী আয়োজিত প্রদর্শনীতে ৫০ টি স্টল স্থান পায়। এসব স্টলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘোড়া, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি, কবুতরসহ পশুপাখির খামারী ও বিভিন্ন ঘাস চাষীসহ ঔষধ কোম্পানি অংশগ্রহণ করেন। তবে, প্রদর্শনীতে ব্যতিক্রম আকর্ষন ছিল ৫ নাম্বার স্টলে দু’বোনের নিজেদের তৈরি করা বাহারি খাবারের সমাহার দিকে। তানঝিরি আলম সাথি ও ফারহানা আলম জুথী তারা জানান, গজা, রসগোল্লা, কালোজাম, চমচম, রসমালাই, দই ও ঘি এ সকল খাবার আমাদের নিজেদের তৈরি করা। আমাদের সুইট মিষ্টি সময় নামে একটি দোকান রয়েছে হাইলজোর বাজারে।
বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেষে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারি খামারিদের পুরস্কারের পাশাপাশি সকল অংশ গ্রহণকারি খামারিদের বিশেষ পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।