গণবাণী ডট কম:
শি জিনপিং তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট হলেন। শুক্রবার (১০ মার্চ) পার্লামেন্টে শপথ নিয়েছেন তিনি। চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে (এনপিসি) প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ পড়েন শি জিনপিং। একইসঙ্গে তিনি দেশের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধান হলেন।
গত অক্টোবরেই পার্টি কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন শি জিনপিং। দলের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে জীবন শুরু করে শি জিনপিং এখন চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী মানুষ। তিনি এখন বিশ্বের মধ্যেও অন্যতম ক্ষমতাশালী রাজনীতিক।
তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে তিনি রেকর্ড করলেন। সেটা হলো, চীনের সবচেয়ে বেশিদিন ধরে প্রেসিডেন্ট পদে থাকছেন শি। চীনে টানা দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হওয়ার নিয়ম ছিল না। তাই শি যাতে দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন, তার জন্য ২০১৮ সালে নিয়মের পরিবর্তন করেন। ফলে শি তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হতে পারলেন।
চীনের প্রসিডেন্টকে নিয়ে বই লিখেছেন অ্যাড্রিয়ান গেইজেস। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত লাভের কথা ভেবে শি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছেন, এমনটা তিনি মনে করেন না।
তার মতে, শি এর একটা ভিশন আছে। সেটা হলো, চীনকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশে পরিণত করা। শি জিনিপিংয়ের পূর্বসূরি জিয়াং জেমিন, হু জিনতাওরা দশ বছর পর ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু শি জিনপিং তা করেননি। তিনি নিয়ম বদল করেছেন।
শি যখন তৃতীয়বারের জন্য প্রসিডেন্ট হলেন, তখন চীন বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছে। আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে গেছে, রিয়েল এস্টেট সেক্টরে সমস্যা দেখা দিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক খুবই খারাপ জায়গায় এসে পৌঁছেছে।
এসওএএস চীন ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর স্টিভ স্যাং এএফপিকে বলেছেন, ‘চীন এবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেকে আরো বেশি করে প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে। সেই সঙ্গে ঘরোয়া বিষয়ে যাতে তাদের বাইরের দেশগুলির উপর নির্ভরশীল না হতে হয়, তার চেষ্টাও করবে। চীন আবার মাওয়ের জমানায় ফিরছে না। তবে এমন একটা পরিবেশ তৈরি হবে, যাতে মাওয়ের অনুগামীরা স্বাচ্ছ্বন্দ্য বোধ করবেন।’
খবর : ডয়চে ভেলে।