গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানাধীন করমতলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে খুন করে বাইরে থেকে ঘর তালাবন্ধ করে পালিয়ে গেছে স্বামী। প্রায় ২৬ ঘণ্টা পর খবর পেয়ে রোববার সকালে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম নাজমা খাতুন (৩৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার পাকুরতলা গ্রামের মাসুদ আলীর মেয়ে। পলাতক স্বামীর নাম ফারুক। তারা গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানাধীন করমতলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় রিপন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তারা উভয়ে পুবাইল থানাধীন সাতখোয়া এলাকায় নেক্সট কম্পোজিট নামক একটি কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, নাজমা বেগমের এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। তার আগের সংসারে একটি ১০ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। আগের স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি কারখানায় কাজ শুরু করেন। কর্মসূত্রে পরিচয় হয় ফারুকের সাথে। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই বছর আগে ফারুকের সাথে নাজমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর নাজমার মেয়ে নানার বাড়ীতে থাকে। বিয়ের পর তারা পুবাইল থানার করমতলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় রিপন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
তিনি আরো জানান, তার পিতা দিনমজুর। শনিবার বিকেল থেকে ফোন করে মেয়েকে পাচ্ছিল না। ফোন করলে ফোন বাজে কিন্তু মেয়ে ফোন ধরছিল না। তিনি ভেবেছিলেন মেয়ে হয়তো ডিউটিতে আছে। তাই ফোন ধরছেনা। আজ সকালেও ফোন না ধরায় তিনি মেয়ের খোঁজ নিতে ভাড়া বাসায় এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে জানালা দিয়ে মেয়েকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি পুলিশে খবর দেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরো বলেন ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত শুক্রবার থেকে শনিবার সকালের মধ্যে কোন এক সময় ফারুক তার স্ত্রী নাজমার মাথায় আঘাত করে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে ফারুক পালিয়ে যায়। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মরদেহের মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।