গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি জরুন এলাকায় অবস্থিত কেয়ানীট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতী চলছে। গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কারখানার সুয়িং সেকশনের অপারেটররা জেনারেটর বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় শ্রমিকরা কারখানার এসেম্বলি পয়েন্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।
পুলিশ ও বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা জানান, ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের চলিতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন ১৯ মার্চ পরিশোধের দিন ধার্য ছিল। ফ্যাক্টরির মালিকপক্ষ ঐ তারিখে বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে ২৩ মার্চ দিন ধার্য করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ২৩ তারিখ বকেয়া বেতন পরিশোধ করার উদ্যোগ গ্রহণ না করে ২৯ মার্চ পুনরায় দিন ধার্য করে। এমতাবস্থায় ফ্যাক্টরির নিটিং সেকশনের শ্রমিকরা গত ২৯ মার্চ তারিখে ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে কাজ বন্ধ করে ফ্যাক্টরির এ্যাসেম্বলি পয়েন্টে জড়ো হয়ে হৈ চৈ শুরু করে।
পরে খবর পেয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-২ এর অফিসার ও ফোর্স ফ্যাক্টরিতে উপস্থিত হয়ে মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে নিটিং সেকশনের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মার্চ পরিশোধ করা হবে এবং সুইং, ফিনিশিং,গার্মেন্টস ও আয়রন সেকশনের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মার্চ পরিশোধ করা হবে বলে ঘোষণা করে।
তারা আরো জানান, উক্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ নিটিং সেকশনের শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি বকেয়া বেতন গত ৩০ মার্চ পরিশোধ করে। কিন্তু সুইং, ফিনিশিং, গার্মেন্টস ও আয়রন সেকশনের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ২ মার্চ পরিশোধ করেনি। এতে শ্রমিকরা গত রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে কাজ বন্ধ করে ফ্যাক্টরির ভেতরে হৈ চৈ শুরু করে এবং উত্তেজিত হয়ে ফ্যাক্টরির সিসি ক্যামেরা, জানালা ও গ্লাস ভাংচুর শুরু করে।
সংবাদ পেয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিন্তু সোমবার ভোর ৬টার দিকে শিফট পরিবর্তনের সময় শ্রমিকদের মধ্যে আবারো উত্তেজনা দেখা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল সাড়ে টার দিকে দিকে প্রায় ১০/১২ হাজার শ্রমিক ফ্যাক্টরির সামনের কোনাবাড়ি-কাশিমপুর ফিডার রোড অবরোধ করে এবং আরো প্রায় ৪/৫ হাজার শ্রমিক ফ্যাক্টরির ভেতরে এসেম্বলি পয়েন্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
খবর পেয়ে গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও কোনাবাড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আশরাফ বলেন, শ্রমিকরা বকেয়া বেতন নির্ধারিত সময়ে পুলিশোধ না করায় কারখানার সামনে ফিডার রোডে অবস্থান নিয়েছে। আমরা মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করছি। যাদে দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধ করে। আশা করছি আজকেই বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।
এবিষয়ে জানতে কারখানা কর্তপক্ষের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেননি।