গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন কুদ্দুস নগর এলাকায় তালাবদ্ধ ভাড়া বাসা থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার ১২ ঘন্টার মাথায় ঐ নারীর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতার স্বামীর নাম নুরুল হক (৫৩)। নুরুল হক মানিকগঞ্জ সদর থানার মেঘশিমুল এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে।
নিহতের নাম আসমা আক্তার (৩৬)। তিনি চট্টগ্রামের হালিশহর থানার হাজী দিঘীরপাড় এলাকার মোস্তফা মিয়ার মেয়ে। আসমা আক্তার নুরুল হকের স্ত্রী।
র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন কুদ্দুস নগর সাকিনস্থ লাবিব ভিলার ৭ম তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ৭ম তলার পশ্চিম পার্শ্বের ফ্লাটের তালাবদ্ধ রুমের ভিতর হতে আছমা আক্তার (৩৬) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধৃত আসামীকে অভিযুক্ত করে কোনাবাড়ী থানায় আসমার পিতা মোস্তফা মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা দায়ের করেন। পরে আসামী গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে র্যাব। পরে র্যাবের একটি আভিযানিক দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে ঢাকার পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১২ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী নুরুল হককে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে করা হয়। এসময় আসামীর নিকট হতে ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী তার স্ত্রী আছমা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে নুরুল হকের সাথে তার স্ত্রী আছমা আক্তারের পরকীয়া প্রেমের সন্দেহে ঝগড়া বিবাদ হয়। ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে নুরুল হক ভিকটিম আছমা আক্তারকে প্রথমে মারধর করে ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর শুক্রবার সকালে তাকে কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জিএমপির কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, ধৃত আসামীকে শুক্রবার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালত পাঠানো হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।