গণবাণী ডট কম:
স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও গাজীপুর ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯ম শাহাদাৎ বার্ষিকী রোববার (৭ মে) । ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে পক্ষকাল ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল , ইফতার ও তবারক বিতরণ, স্মরণ সভা এবং স্মরণিকা প্রকাশ।
রোববার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুপার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিকেলে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ , স্মরণ সভা। এসব কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করবেন।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ( গাজীপুর- ২ গাজীপুর সদর - টঙ্গী ) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ - (বিলস) এর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যাযে তিনি গ্রেফতার হন ও কারাভোগ করেন।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদ, টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগ ও শ্রমিক লীগসহ সকলকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদৎ বার্ষিকীর কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করার জন সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।