গাজীপুর প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র পায়তারা করছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে নির্বাচন করবে না এবং কাউকে নির্বাচন করতেও দিবে না। এটা যে কত বড় অপরাধ। স্বাধীন বাংলাদেশে তারা কিভাবে বলে নির্বাচন করতে দিবে না। আমাদের মূল লক্ষ্য সারা বাংলাদেশে যে কোন জায়গায় নির্বাচন আসবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যারা নৌকা নিয়ে আসবেন, আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করবো। গাজীপুরে আগামি ২৫ মে নির্বাচনে জয়লাভ করতেই হবে ইনশাল্লাহ।
তিনি রবিবার দুপুরে গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গাজীপুরে নির্বাচন নিয়ে অনেক খেলা শুরু হয়েছে। নির্বাচন বানচাল করার জন্য ইতিমধ্যে পাঁয়তারা চলছে। আমরা আইনশৃংখলা আর আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমাদের নেতা-কর্মীদের কাছে অনুরোধ থাকবে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে আমরা সবাই কাজ করবো।
তিনি আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপির সভাপতিত্বে সমাধিস্থলে আয়েজিত স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, এসএম কামাল হোসেন, মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এড. আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্ম নেওয়া জনপ্রিয় নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্রমিক সমাবেশ চলাকালে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ছোট ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এই হত্যা মামলার রায় হয়। এতে মোট ৩০ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার আদালতে দেওয়া রায়ে ৬ জনকে ফাঁসি, ৭ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়। এ রায় এখনও কার্যকর হয়নি।