গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশ নেওয়া মহানগরর বিএনপি ৩০ নেতাকর্মীকে নির্বাচন থেকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১১ মে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিটি তাদের পৌছে দিয়েছেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকার। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শওকত হোসেন সরকার।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিগত ১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ দেশপ্রেমিক জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলন করে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ প্রায় ৫ (পাঁচ) বছর যাবৎ কারাভোগ করছেন। সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন এবং প্রায় ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। ইতিমধ্যে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম করে রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোন প্রকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অথচ আপনি দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তি স্বার্থ চিন্তা করে এই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন।
সুতরাং কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা, তার কারণ দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি লিখিত কাবাব দলের কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
মহানগরীর যে সব নেতাকর্মী চিঠি পেয়েছেন, তারা হলেন, শোকজ পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থী বিএনপি নেতারা হলেন- সদর মেট্রো থানার আহবায়ক হাসান আজমল ভূইয়া, সদর মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হান্নান মিয়া হান্নু, বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মূসা, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফি উদ্দিন, টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ আলেক, মহানগর শ্রমিকদলের আহবায়ক ফয়সাল আহমাদ সরকার, পূবাইল থানা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বিকি, সাবেক আহবায়ক সুলতান উদ্দিন চেয়ারম্যান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান, সদস্য মোঃ মাহবুবুর রশিদ খান শিপু, সবদের হাসান, খাইরুল আলম, জিএস নাসিমুল ইসলাম মনির, শহিদুল ইসলাম, তানবীর আহমেদ, আনোয়ার সরকার, রফিকুল ইসলাম রাতা, বাবু চৌধুরী, আবুল হাসেম, সেলিম হোসেন, মোঃ ফারুক হোসেন খান, মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার নুরুন্নাহার, সহসভাপতি কেয়া শারমিন, শ্রমিকদল নেত্রী ফিরোজা বেগম, হাসিনা মমতাজ, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আলম, ৩৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আউয়াল সরকার, বিএনপি নেতা মোঃ মাহফুজুর রহমান ও ৪৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন মিলন।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শওকত হোসেন বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দল থেকে ৩০ জনকে আলাদা আলাদা চিঠি দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নেব না। তাই আমরা চাই দলীয় নেতাকর্মীসহ সকলে এ সরকারের অধীনে সকল ভোট বর্জন করুক। সে লক্ষ্যেই এ চিঠি দেয়া হয়েছে।