গণবাণী ডট কম :
গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সোমবার ভোরে বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং করার সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পিকেটিং কারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানিয়েছেন জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেন।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করার পর বিকালে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড পরে শুনানীর জন্য রেখে আসামীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরো হলো, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির, বাসন মেট্রো থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন হোসেন, যুবদল নেতা তারেক, মোশারফসহ ৬ জন। অপরজনের নাম জানা যায়নি।
জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেন জানান, সোমবার ভোরে আমরা জানতে পারি. বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-ময়মসিংহ মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা ও নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিস্ফোরিত ও একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বাসন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের কাজে বাধাদান, পুলিশের উপর হামলা ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ ঘটনায় জড়িত পলাতক অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সোমবার ভোরে চান্দনা এলাকায় বাসন থানা বিএনপির পক্ষ থেকে পিকেটিং করার প্রস্তুতির সময় পুলিশ গিয়ে সাউন্ড গ্রেণেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ৬ নেতাকমীকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি আরো জানান, এসময় ২৫/৩০ জন নেতা কর্মী আহত হয়।
মন্তব্য