গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ পাঁচ আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) আইনজীবী সমিতির আহবায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমিতির অফিস সহকারী মো: সোহাগ বাদী হয়ে গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কায়সারুল ইসলাম শুনানী শেষে অভিযোগটি এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে জিএমপি সদর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবাদীরা হলেন,বারের সাবেক সভাপতি আহসান উদ্দিন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সরকার, কোষাধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান। এ ছাড়া অর্থ আত্মসাতে তাদের সহযোগী হিসেবে সাবেক লাইব্রেরি সম্পাদক মো. রওশন আলী ও সাবেক মহিলা সম্পাদক কল্পনা আক্তারকেও বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী সমিতির আহবায়ক কমিটির একাধিক সদস্য জানান, গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারণ সদস্যদের সরাসরি ভোটে এক বছর মেয়াদী কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সর্বশেষ গঠিত কমিটির মেয়াদ গত বছরের ৩ মার্চ শেষ হয়। কিন্তু ঐ কমিটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী কমিটি গঠনের জন্য যথাসময়ে নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেননি। এছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সমিতির কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। পরে আইনজীবী সমিতির সাংবিধানিক সংকট নিরসনে সকলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমিতির একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় সাবেক সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়, আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি ও সদর মেট্রো থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো: ওয়াজ উদ্দিন মিয়াকে এবং সদস্য সচিব করা হয় সমিতির সভাপতি ও গাজীপুর পৌর বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক সুলতান উদ্দিনকে। কমিটির আন্যান্য সদস্যরা সকলেই বারের সাবেক সভাপতি/সম্পাদক।
আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাড. সুলতান উদ্দিন বলেন, সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এডহক কমিটি তদন্ত করে সাবেক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সমিতির ফান্ড থেকে ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পায়। পরে সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ এবং তাদের সহযোগী হিসেবে লাইব্রেরি ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মন্তব্য