গণবাণী ডট কম:
রাজধানীর সবচেয়ে দ্রুতগামী, উন্নত সেবা ও আধুনিকতার কারণে গণপরিবহন হিসেবে মেট্রোরেল শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রুটে যাত্রীসেবা দিয়ে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু করা হয়। চাহিদার কারণে এই রুট বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এই রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেলে অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী বহন করা যাবে। উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এই রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৭.৫ কিলোমিটার। এই রুটে হবে নতুন ৫ স্টেশন—দিয়াবাড়ি বাজার, সোনারগাঁও জনপথ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার, টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।
তিনি আজ রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে এ কথা জানান।
মেট্রোরেলের এমডি আরো জানিয়েছেন, এমআরটি রুট অ্যালাইনমেন্ট বরাবর যানজট কমে গেছে।
এর আগে শুক্রবার (১০ মে) এম এ এন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, অপরদিকে, এ গণপরিবহণের পরবর্তী গন্তব্য সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত বর্ধিত হওয়ার কথা থাকলেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আশুলিয়ার বদলে নতুন গন্তব্য হিসাবে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীকে স্থির করা হয়।
উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেল বর্ধিত করতে সমীক্ষা চলমান রয়েছে। মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন ও সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এই পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রাপথ হবে ৪৮ মিনিটের।
তিনি আরো বলেন, এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মন্তব্য