আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তিসহ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২২ বিলিয়ন ডলারে হয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতি এই মুহুর্তে ভালো অবস্থায় আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব পদ্ধতিতে হিসাব করলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে দাড়ায়। গত বুধবার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৪৭ ও ২৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। এরপর বৃহস্পতিবার রিজার্ভের নতুন হিসাব উঠে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার আমরা পেয়েছি। কোরিয়া, বিশ্বব্যাংক, আইডিবির উৎস থেকে ৯০ কোটি ডলার এসেছে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত হিসাবে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।
তবে, আইএমএফের পদ্ধতিতে হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বৃহস্পতিবার তহবিল যোগ হয়ে তা দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে।
২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। তবে বিভিন্ন কারণে বর্তমান পর্যায়ে এসে নেমেছে। এ কারণে আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ ওই ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। ঋণ পেয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২২ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পদ্ধতিতে হিসাব করে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে।
মন্তব্য