কয়লার ময়লা যায় না ধুইলে, এ প্রবাদ কে আবারো সত্য প্রমাণ করে জেল থেকে পালিয়ে ছিনতাইকালে হাতেনাতে পুলিশের হাতে ফের গ্রেফতার হয়েছেন এক আসামী। এ আসামী গত ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে এসে কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়ন এলাকায় ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিলেন। গ্রেফতারের পর আবার তাকে আদালতের মাধ্যমে রোববার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার আসামীর নাম মোঃ নয়ন মিয়া (৪৪)। তিনি নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার ঝালোয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
পুলিশ জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে গত ১৯ জুলাই অন্য অনেক আসামীর সাথে পালিয়ে আসেন নয়ন মিয়া। মোঃ নয়ন মিয়ার নামে ৩টি অস্ত্র, ৪টি ডাকাতি, ৪টি ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা চলমান রয়েছে। গ্রেফতারের পর কাপাসিয়া থানায় নতুন করে মারপিট, জীবন নাশের ভয়ভীতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরো একটি (নং ২৭) মামলা হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার মামলার বাদী মোঃ আবুল কাশেম জানান, টোক নয়ন বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ আবুল কাশেম বিভিন্ন হাট বাজার হতে কলা ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করেন। গেল শনিবার ভোর রাত অনুমান ৩টার সময় তিনি বাড়ী থেকে বের হয়ে টোকের ঘোষেরকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার ইজিবাইকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এ সময় রাস্তার পাশের ঝোপের আড়াল থেকে ৪ জন অজ্ঞাত পরিচয় লোক এসে প্রথমে তাকে কিল ঘুষি মারে এবং একজন রামদা তাঁর গলায় ধরে বলে যে “তোর সাথে যা আছে দিয়ে দে, শোর ও চিৎকার করলে তোর গলা কেটে ফেলবো।” এই কথা বলে একজন তার বুক পকেটে থাকা নগদ ২ হাজার টাকা এবং অপর একজন তার প্যান্টের পকেটে থাকা ১২ হাজার টাকা জোর ছিনিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে ছিনতাইকারীরা তাকে ছেড়ে দিয়ে অন্যান্য পথচারীদের নিকট থেকে ছিনতাইয়ের জন্য সেখানে অবস্থান করতে থাকে। এসময় আবুল কাশেম প্রাণপণ ভয়ে দৌড়ে দূরে গিয়ে চিৎকার করে। এ সময় ঘটনাস্থলের কিছু দূরে টহল ডিউটিতে থাকা টোক নয়ন বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের টহল পুলিশ তাকে দেখতে পায়। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ একসাথে মিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধাওয়া দিয়ে একজন ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। অপর তিনজন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুবকর মিয়া জানান, কোটা আন্দোলন সময় ok ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে নয়ন মিয়া পালিয়ে আসে। পরে সে তার পুরনো সঙ্গীদের নিয়ে ছিনতাইয়ের সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে রোববার গাজীপুর আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য