শুনানী চলাকালে হাইকোর্ট বলেছেন, সব মৃত্যুর ঘটনাই দুঃখজনক। কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা লজ্জিত।
আন্দোলনে গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শুনানি চলাকালে এ মন্তব্য করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বিত বেঞ্চ।
এর আগে, সোমবার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট দায়ের করেছেন।
রিটে, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিচালক, সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌ বাহিনীর প্রধান ও বিমান বাহিনীর প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে উপর মঙ্গলবার শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও বুধবার পরবর্তী শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত আদেশ দেয়া হবে।
মঙ্গলবার শুনানিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, “সংবিধান ও আইনে সব বিষয় লেখা আছে। কিন্তু আমরা কেউই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছি না। পুলিশ কী আচরণ করবে তাতো সিআরপিসিতে পরিস্কার বলা আছে।”
হাইকোর্টের মন্তব্য, “কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে আটক করলে আদালতে হাজির করবেন, রিমান্ড চাইবেন, সবকিছু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে।”
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।
শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির বলেন, ‘গত কদিনে এতগুলো মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। এতে সরকারও মর্মাহত। তৃতীয় পক্ষের গুলিতে অনেকে মারা গিয়ে থাকতে পারে”।
তবে, শুনানির সময় সরকার পক্ষ ও রিটকারী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল বাধে। এজলাসের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
খবর : বিবিসি ও অন্যান্য।
মন্তব্য