গণবাণী ডট কম:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা ‘হত্যাযজ্ঞ’ চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেনি মিয়ানমার। তবে ‘গণহত্যা’ বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে ভোরের কাগজ, শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলানয়তনে ‘ফ্ল্যাশ অন রোহিঙ্গা জেনোসাইড’ শীর্ষক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সরকার ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়নে তারা সিরিয়াস নয়। দেশটির রাজনৈতিক নেতা অং সান সু চি ও সেনাপ্রধানের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। এ কারণে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বার বার বললেও তা বাস্তবায়ন করছে না।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা মাদকসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের জন্য কক্সবাজার অঞ্চলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পালিয়ে আসার চিত্র ধারন বিষয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন চিত্র সাংবাদিক কে এম আসাদ। পরে রোহিঙ্গা সম্পর্কিত একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ওআইসির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছি। সেখানে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু এখনো নিচ্ছে না। আবার রোহিঙ্গারা নিরাপত্তার কারণে সেখানে যেতে চাইছে না। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গাদের নেতাদের নিয়ে বোঝাতে, মিয়ানমার সেটাও করছে না।
আটদিন ব্যাপী ‘ফ্ল্যাশ অন রোহিঙ্গা জেনোসাইড’ শীর্ষক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীতে চারজন চিত্রসংবাদিক কে এম আসাদ, সুমন পাল, মাহমুদ হোসেন অপু ও সালাউদ্দিন আহমেদ পলাশের তোলা ১২১টি চিত্র স্থান পেয়েছে। উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও দেশ বিদেশের দর্শনার্থীরা ভিড় জমান।