গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগর ও তৎসলগ্ন এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন ও নগরায়নের লক্ষে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা জন্য ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০২০’ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। এ বিলে অনুমোদন ছাড়া ইমারত নির্মাণ, পুন:নির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুন:খনন বা উচুঁ ভূমি কাটা যাবে না ইত্যাদি বিধান রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ বিলটি উপস্থাপন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, গাজীপুরকে পরিকল্পিত নগরায়ন এবং জনসাধারণকে নাগরিক সুবিধা দেওয়ার জন্য গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (জিডিএ) গঠন করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০২০’ এর খসড়া প্রণীত হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিল মাসের এক তারিখে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় বিলটি অনুমোদিত হয়। বিলটিতে সরকারি টাকা ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে।
৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলে বলা হয়, ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। বিলে কর্তৃপক্ষ পরিচালনার জন্য ২০ জনের একটি জনবল কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন চেয়ারম্যান, চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, বুয়েটের নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান, গণপূর্ত, ভূমি, পরিবেশ এবং বিমান মন্ত্রণালয়ের একজন করে উপসচিব থাকবেন। এছাড়া এই কর্তৃপক্ষে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পুলিশ কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা, গাজীপুরের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, সরকার মনোনীত ওই এলাকার একজন নারীসহ তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক এবং গাজীপুর শিল্প ও বণিক সমিতির একজন প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব থাকবেন। চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক চারজন সদস্যকে সরকার তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেবে। মনোনীতরা তিন বছর মেয়াদে এই কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন।
কর্তৃপক্ষ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন। কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও আধুনিক পর্যটন ও নগর উন্নয়ন কার্যাবলী গ্রহণ করবেন। কৃষিভূমি, বনভূমি, নিম্নভূমি, জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ইমারত নির্মাণ, পুনঃনিমার্ণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুনঃখনন বা উচুঁ ভূমি কাটা যাবে না।’