গণবাণী ডট কম:
বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যেই বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস থেকে উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার। এমন পরিস্থিতিতে দেশের কৃষি বিভাগ এক বুলেটিনে বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ক হলে তা দ্রুত কাটার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কৃষি আবহাওয়া বুলেটিনটি দেশের নিন্মোক্ত দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য বলে বলা হয়েছে। দেশগুলো হলো:
সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল, যশোর, মাগুরা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বান্দরবান, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও রংপুর।
উপরোল্লিখিত ৫১ জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে ফসলকে রক্ষার জন্য নিম্নোক্ত জরুরি কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক পরামর্শ দেয়া হলো-
১. বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ক হলে দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলুন।
২. সংগ্রহ করা ফসল পরিবহন না করা গেলে মাঠে গাদা করে পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে রাখুন যেন ঝোড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টির কারণে ক্ষতি না হয়।
৩. দ্রুত পরিপক্ক সবজি ও ফল সংগ্রহ করুন।
৪. সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
৫. দণ্ডায়মান ফসলকে পানির স্রোত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিন।
৬. নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন যেন জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।
৭. খামারজাত সব পণ্য নিরাপদ স্থানে রাখুন।
৮. আখের ঝাড় বেঁধে দিন, কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন।
৯. পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দিন যেন ভারি বৃষ্টির পানিতে মাছ ভেসে না যায়।
১০. গবাদি পশু ও হাঁসমুরগি শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখুন এবং
১১. মৎস্যজীবীদের সমুদ্র গমন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।