গণবাণী ডট কম:
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, সড়কের শৃঙ্খলাটাই বড় সংকট। সড়ক-মহাসড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আইনাই আমাদের লক্ষ। এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। এখন আমরা আটঘাট বেধেই নেমেছি। অবকাঠামোগত সমস্যাও কোথাও নেই। উন্নয়ন যথেষ্ট হয়েছে। শৃঙ্খলা না থাকলে এই উন্নয়নের কোন দাম নেই। তাই শৃঙ্খলাটা এখন বড় সংকট। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে সাভার-নবীনগর-চন্দ্রা এলাকায় আজ থেকে কার্যকর হওয়া সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ণষ করেন। পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে উড়াল সড়ক নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, বহু প্রতিক্ষিত সড়ক পরিবহন নিরাপত্তা আইন আজকে কার্যকর হতে চলেছে। এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় আছে। সকাল থেকেই এই আইন কার্যকারীতা আমি পর্যবেক্ষণ করছি। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি, প্রতিক্রিয়া যে রাস্তার অবস্থাটা কেমন দাড়ায়। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বিষয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, সারাদেশে এখন যে সম্মেলন হচ্ছে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন একটি নেতৃত্ব আসছে। নতুন নেতৃত্বে যাতে অনুপ্রবেশকারী তথা বিতর্কীত লোকজন বা অপকর্মকারী লোকজন যাতে আওয়ামীলীগের কোন পর্যায়ের নেতৃত্বে না আসতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতৃবৃন্ধকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তালিকা অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সেই তালিকায় দেড় হাজারের মতো নাম রয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রদায়িক দল ছাড়া অন্যদল থেকে ক্লিন ইমেজের লোক আমরা অবশ্যই স্বাগত জানিয়েছি। এদেরকে আমরা অনুপ্রবেশকারী বলব না। যারা ভাল মানুষ, শিক্ষিত মানুষ, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, তারা অন্য দল করেও আসতে পারে। কিন্তু সম্প্রদায়িক শক্তি থেকে অনুপ্রবেশ, এটা স্টীকলি আমদের দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ। সম্প্রদায়িক শক্তি থেকে আসা, চিহ্নিত চাঁদাবাজ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি, চিহ্নিত ভূমিদস্যু, জনগণের কাছে যাদের ইমেজ খারাপ এই ধরণের লোকজন অনুপ্রবেশকারী। এই ধরণের অনুপ্রবেশকারীর তালিকা প্রধানমন্ত্রী নিজের তত্বাবধনে তৈরি করেছেন এবং তার কাছে এই তালিকা আছে। তালিকাটি তিনি আমাদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি এখন এই তালিকা, আমাদের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত, যারা কাজ করছেন তাদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা সার্কেলের তত্বাবধায়ক সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার, গাজীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুদ্দিনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।