গণবাণী ডট কম:
শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বলেছেন, আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা উদ্যোক্তা হবেন। আমরা তাদের নানা ধরণের প্রশিক্ষণ দেবো, তাদের উদ্যোক্তা হতে শেখাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চান আমাদের ছেলে-মেয়েরা উদ্যোক্তা হবে, নতুন নতুন কাজ তৈরি করবে। নিজেরা অন্য আরও দশজনকে চাকিরি দেবে।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খণ্ড এলাকায় দেলোয়ার হোসেন দম্পত্তির মৌমিতা ফ্লাওয়ার্স ফুল-সবজির বাগান
পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এমনিতেই মাটি এত উর্বর যে, তাতে ফুল চাষ করে বাজারজাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ ফুল বিদেশে রপ্তানি করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ দম্পতি যেভাবে উদ্যোক্তা তৈরি করে দিচ্ছেন আমি বিশ্বাস করি যে, সরকারি আরও সহযোগিতা পেলে নিশ্চয়ই উনারা এটাকে বিশাল আকারে নিয়ে যেতে পারবেন।
দীপু মনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার সবসময়ই উদ্যোক্তাদের পাশে আছে। কেউ নতুন কিছু করতে চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের সহায়তা দেন, উৎসাহ দেন। দেশে এভাবে ফুল চাষ হলে আমরাও সবজির পাশাপাশি ফুলও রপ্তানি করতে পারবো ইনশাল্লাহ্।
এ সময় শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. রিনা পারভীন, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. শামসুল আলম প্রধান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা মোস্তারী, শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির হিমু, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ৭ একর জমিতে কালার ক্যাপসিকাম, গ্রিন ক্যাপসিকাম, টিউলিপ ফুল, ওরিয়েন্টাল লিলি, ডাচ গোলাপ, দেশি গোলাপ, স্ট্রবেরি, জি-৯ কলাসহ বিভিন্ন ফুল-ফলের চাষ ও চারা তৈরি করেন দেলোয়ার হোসেন।
দেলোয়ার হোসেন জানান, ২০০২ সাল থেকে নিজের কিছু জমিতে এসব চাষাবাদ শুরু করেন। পরে তা নিজের পাঁচ বিঘা ও লিজে নেয়া ১৫ বিঘা জমিতে সম্প্রসারণ করেন। সারাদেশে তিনি এসব চাষে তিনশ’ জন উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন।
এসব চাষাবাদে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ প্রকল্পে ব্যাংকগুলো পর্যাপ্ত লোন দেয় না। যে লোন পাওয়া যায় তাও চড়া সুদে। সরকার তাকে সহযোগিতা করলে ফুল-সবজি চাষ করে ভারত ও চীনের মতো হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে।