গণবাণী ডট কম:
নরসিংদীর আরশীনগর পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানায় অবৈধভাবে আটকে রাখা বিভিন্ন প্রজাতির ৩৮টি পশু ও পাখি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বৃহস্পতিবার উদ্ধারের পর মধ্যরাতে পশুগুলি ও আজ শুক্রবার বিকালে পাখীগুলি গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক ও ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।
অবমুক্ত করা পশু ও পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১টি ভাল্লুক, ৪টি বানর, ১টি গন্ধগোকূল, ১টি অজগর সাপ, ৫টি সজারু, ২টি বালি হাঁস, ১৩টি বক, ১টি শকুন ও ১টি চিল।
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, গেল বৃহস্পতিবার রাতে পশু ও পাখিগুলো আমাদের নিকট হস্তান্তর করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। পরে রাতেই পশুগুলোর মধ্যে বানর ও গন্ধগোকুল ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্কে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এসময় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. জহির আকন উপস্থিত ছিলেন। পরে আজ শুক্রবার বিকালে অবশিষ্ট পশু ও পাখিগুলো বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের আলাদা (কোয়ারেন্টিনে রাখা) প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। এসময় পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান ছাড়াও বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস, পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান ও মো. সারোয়ার হোসেন খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো: জহির আকন জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে জানতে পারেন নরসিংদীর সদর থানার এলাকার আরশীনগর পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানায় অবৈধভাবে কিছু পশুপাখি আটকে রাখা হয়েছে। এমন খবর পেয়ে ঐ পার্ক পরিদর্শনে গিয়ে বেশকিছু দেশী-বিদেশী পাখি ও বন্য প্রাণি খাঁচায় আটকে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু এর জন্য তাদের কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না। পরে মিনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর বিষয়ে না জেনে বন্যপ্রাণীগুলোকে আটক রাখার কথা স্বীকার করে। পরে তারা স্বেচ্ছায় পশু ও পাখিগুলোকে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের নিকট হস্তান্তরে রাজি হয়।
পরে বন্য প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার রাতেই গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাতেই সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ কয়েকটি পশু ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করে।